ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, টার্গেট ইরান-ইয়েমেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৮, এপ্রিল ২, ২০২৫
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, টার্গেট ইরান-ইয়েমেন

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পারনেল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

হেগসেথের নির্দেশ, যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান এবং এর সঙ্গে থাকা নৌবহর মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থান করবে। এটি সর্বশেষ উত্তর লোহিত সাগরে ছিল, যেখান থেকে ইয়েমেনে বিমান হামলা চালাচ্ছে মার্কিন বাহিনী।

পেন্টাগন জানায়, ইউএসএস কার্ল ভিনসন ও ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ১-এর যুদ্ধজাহাজগুলো ইন্দো-প্যাসিফিকের মিশন শেষ করে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) অধিক্ষেত্রে (এরিয়া অব রেসপনসিবিলিটি) প্রবেশ করবে।

মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের জন্য ঠিক কোন ধরনের যুদ্ধবিমান পাঠানো হবে, পেন্টাগন তা জানায়নি।

বিবৃতিতে পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র বলেন, সেন্টকমের সামুদ্রিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অতিরিক্ত স্কোয়াড্রন ও অন্যান্য বিমান সরঞ্জাম মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন, যা আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াবে।

কমপক্ষে চারটি বি-টু স্পিরিট স্টিলথ যুদ্ধবিমান ভারত মহাসাগরের ডিয়েগো গারসিয়া দ্বীপে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ সামরিক ঘাঁটিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এই যুদ্ধবিমানগুলো ইয়েমেনে সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে, কারণ পূআগে এগুলো একই ধরনের একটি অভিযানেও ব্যবহার করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে ইরানের দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো এবং তেহরানকে একটি অনুকূল চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য করার কৌশল। বি-টু যুদ্ধবিমান জিবিইউ-৫৭ এর মতো শক্তিশালী বোমা বহনে সক্ষম। এসব বোমা গোপন সামরিক ও পারমাণবিক অবকাঠামোয় হামলা করতে পারে। এ কারণে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ইরানের শক্তিশালী স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

বিবৃতির শেষে বলা হয়েছে, হেগসেথ স্পষ্ট করেই বলছেন, যদি ইরান বা তার মিত্ররা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা এবং স্বার্থের জন্য হুমকি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন জনগণকে রক্ষার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৫
এমএইচডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।