কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বাইসারান উপত্যকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ পর্যটক নিহতের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। হামলার পেছনে পাকিস্তানের পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে নয়াদিল্লি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে পাকিস্তানিদের জন্য বিশেষ ভিসা সুবিধা। বন্ধ করা হয়েছে দুই দেশের প্রধান সীমান্ত পথ। এছাড়া, ভারতে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছে দিল্লি।
এমন উত্তেজনাকর প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির নৌবাহিনী মিসাইল ধ্বংসের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস সুরাত’ সমুদ্রপৃষ্ঠে নিচু দিয়ে উড়ে আসা একটি দ্রুতগতির মিসাইল সফলভাবে ধ্বংস করেছে।
এই সফলতা দেশের প্রতিরক্ষা খাতে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেও দাবি করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, একই সময় পাকিস্তানও করাচি উপকূলে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সারফেস-টু-সারফেস মিসাইলের পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এই মহড়া চলবে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া এসেছে সরাসরি। পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় ভারতের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোকে ‘শিশুসুলভ’ আখ্যা দিয়ে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, এসব ঘোষণায় গুরুত্বের অভাব রয়েছে।
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জরুরি বৈঠকে বসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের এসব পদক্ষেপের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। সেই জবাব কোনোভাবেই নরম হবে না। ভারত প্রতিবারই পাকিস্তানকে দোষারোপ করে, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে তারা যদি সত্যিই কোনো প্রমাণ রাখে, সেটি প্রকাশ করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
এমজে