ইয়েমেনের সাদায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের রাখা একটি আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) উত্তর-পশ্চিম ইয়েমেনের ওই অঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম ওই অভিবাসন আটক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার ভয়াবহ ফুটেজ সম্প্রচার করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদার ওই অভিবাসী কেন্দ্রে প্রায় ১০০ জন ইথিওপীয় ও অন্যান্য আফ্রিকান অভিবাসী ছিলেন; যারা কাজের সন্ধানে ইয়েমেন হয়ে সৌদি আরব যাওয়ার সময় ধরা পড়েন।
একইদিন, রাজধানী সানার উত্তরের বনি আল-হারিত এলাকায় আরো একটি বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এত নারী ও শিশুসহ ৮ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) বলছে, চলতি বছর মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ইয়েমেনে আটশ’র বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত কয়েক সপ্তাহেই আগ্রাসনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র এক বিলিয়নেরও বেশি ডলার খরচ করেছে। হামলাগুলো বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে চালানো হয়নি বলে দাবি করলেও এতে সাধারণ মানুষই হতাহত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
সেন্টকমের চালানো সাম্প্রতিক বোমা হামলার নাম ‘অপারেশন রাফ রাইডার’। তাদের দাবি তারা এই হামলায় শত শত হুতি যোদ্ধা ও নেতাদের হত্যা করেছে।
হুতিদের দুর্বল করতে এবং লোহিত সাগরে মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজ চলাচল নিরাপদ করতে তারা আক্রমণ চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংস্থাটি।
তারা বলেছে, ‘লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা চাপ বাড়াতেই থাকব। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা এবং মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। ’
ইয়েমেনের বিরুদ্ধে মার্চের মাঝামাঝি থেকে একের পর এক বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন আগ্রাসনে এ পর্যন্ত আড়াইশ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। মার্কিন আক্রমণ সত্ত্বেও গাজার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং লোহিত সাগরে মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
এসএস/এসএএইচ