ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৮ মে ২০২৫, ২০ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১০, মে ১৮, ২০২৫
যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ 

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নতুন একটি ভূ-পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছিল। তবে চেষ্টাটি ব্যর্থ হয়েছে।

খবর এনডিটিভির।

স্যাটেলাইটটি শ্রীহরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে একটি রকেটে পাঠানো হয়। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সেটি নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।

রোববার সকালে এক বিবৃতিতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানায়, শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশকেন্দ্র থেকে ভোর ৫টা ৫৯ মিনিটে পিএসএলভি রকেট উৎক্ষেপণের পর প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হলেও তৃতীয় ধাপে একটি ত্রুটি ধরা পড়ে।  

উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই ত্রুটি ধরা পড়ে। এটি ছিল শ্রীহরিকোটা থেকে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার ১০১তম উৎক্ষেপণ মিশন।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান ভি নারায়ণন ২০২৩ সালে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার ব্যর্থতার কারণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি জানান, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (পিএসএলভি) অর্থাৎ ওই রকেটের উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয় চেম্বারের চাপ কমে যাওয়ায়।

তিনি বলেন, আজ আমরা শ্রীহরিকোটা থেকে ১০১তম উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করতে চেয়েছিলাম। রকেটটি চার ধাপে কাজ করে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ ঠিকঠাক চললেও তৃতীয় ধাপে সমস্যা হয়। তাই স্যাটেলাইটটিকে কক্ষপথে পাঠানো যায়নি।

পিএসএলভি রকেট উৎক্ষেপণের ব্যর্থতা নিয়ে এখন তদন্ত করবে দুটি কমিটি। এর একটি হলো মহাকাশ সংস্থার অভ্যন্তরীণ ত্রুটি বিশ্লেষণ কমিটি, আরেকটি হলো সরকারের একটি বাহ্যিক তদন্ত কমিটি।

পিএসএলভি রকেটকে একটি নির্ভরযোগ্য উৎক্ষেপণ যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চন্দ্রযান ও মঙ্গলযান মিশনেও এটিই ব্যবহৃত হয়েছিল।  

রকেটের সঙ্গে ছিল ইওএস- ৯ নামের একটি পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট। এটি মহাকাশ থেকে ছবি ও তথ্য পাঠানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি পৃথিবীর ৫০০ কিলোমিটার উপরে কক্ষপথে পৌঁছে কৃষি, বন, পানিসম্পদ বা নজরদারির মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠাতে পারত।  

আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।