ঢাকা, শনিবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৪ মে ২০২৫, ২৬ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া চার অঞ্চল নিয়ে আশা ছাড়তে হবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৬, মে ২৪, ২০২৫
ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া চার অঞ্চল নিয়ে আশা ছাড়তে হবে?

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান কমান্ডার ভ্যালেরি জালুঝনি মন্তব্য করেছেন, রাশিয়ার দখলে যাওয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল পুনরুদ্ধারের আশা কিয়েভের ত্যাগ করা উচিত। তার মতে, এই লক্ষ্য অর্জন করা কেবল কোনো অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা রপ্তানি ফোরামে তিনি বলেন, আমি মনে করি, ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনা এবং ১৯৯১ বা ২০২২ সালের সীমানা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা অলৌকিক কিছু না ঘটলে সম্ভব নয়।

২০১৪ সালে কিয়েভে পশ্চিমা-সমর্থিত মাইদান অভ্যুত্থানের পর ক্রিমিয়ায় গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর, ২০২২ সালে ডনবাসের দুই প্রজাতন্ত্র- দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক; খেরসন ও জাপোরোঝিয়ে অঞ্চলও একইভাবে রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইউক্রেন এই গণভোটগুলোকে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি এবং অঞ্চলগুলোকে নিজের সার্বভৌম ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে।

জালুঝনি রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া চারটি অঞ্চল এবং ক্রিমিয়া নিয়ে ইউক্রেনের দাবির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, কিয়েভ আসলে মস্কোর সঙ্গে এক প্রকার ‘ক্ষয়ক্ষতির যুদ্ধে’ জড়িয়ে আছে। রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে এবং আক্রমণ চালাতে সক্ষম। সাবেক এই জেনারেল সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেন মানবসম্পদ ও অর্থনীতির সংকটে ভুগছে।

এমন পরিস্থিতিতে, জালুঝনির মতে, ইউক্রেনকে উচ্চ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে সীমিত শক্তি-সম্পদ দিয়ে টিকে থাকার লড়াই চালাতে হবে। তিনি বলেন, দেশটি অন্য কোনো ধরনের যুদ্ধের চিন্তা করা উচিত নয়, কারণ তাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এ মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন রাশিয়ান বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে। এপ্রিলের শেষের দিকে রুশ বাহিনী কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহেই দোনেৎস্ক অঞ্চলের চারটি গ্রামসহ মোট ছয়টি বসতি রুশ বাহিনী দখল করেছে।

গত সপ্তাহেই তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শর্তহীন আলোচনার আহ্বান জানানোর পর এই আলোচনা শুরু হয়। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, উভয় পক্ষ এখন সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া প্রস্তাব বিনিময়ের আশা করছে।

এমএইচডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।