ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছে ইরান। তার পরিবার ও মানবাধিকার কর্মীদের দাবি, এই বিচার প্রক্রিয়া অন্যায্য।
৪১ বছর বয়সী মাদানিকে তেহরানের উপকণ্ঠে কারাজ শহরের ঘেজেলহেসার কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়। এর আগে তাকে রাজধানীর এভিন কারাগার থেকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি এভিন কারাগারেই বন্দি ছিলেন।
গত দুই মাসে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে ফাঁসিতে ঝোলা দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন পেদরাম মাদানি। সাম্প্রতিক সময়ে নানা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান, যা অধিকারকর্মীদের মতে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনার নতুন পর্বের পটভূমিতে এই ফাঁসি কার্যকর করা হলো। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না।
ইরানের বিচার বিভাগীয় সংস্থা মিজান অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, পেদরাম মাদানি ইহুদিবাদী শাসন ব্যবস্থার (ইসরায়েল) পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করেছিলেন।
মিজান অনলাইনের খবরে আরও বলা হয়, অপরাধ সংক্রান্ত বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর এবং সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায় অনুমোদনের মাধ্যমে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয় ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তবে অধিকারকর্মী ও পেদরাম মাদানির পরিবার দাবি করেছে, তার বিরুদ্ধে আনা মামলাটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। তারা উল্লেখ করেছেন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় মাদানিকে নিজের পছন্দমতো আইনজীবী নিয়োগের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।
আরএইচ