যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ ধরপাকড় ঘিরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে উত্তাল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
রোববার (৮ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদন বলছে, নথিপত্রবিহীন অভিবাসীদের ধরতে গত শুক্রবার থেকে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ শুরু হলে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
বিবিসি জানায়, এই সহিংসতা মোকাবিলায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াইট হাউজ। শনিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্যে অনাচার বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আল জাজিরা জানায়, শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসের দক্ষিণাঞ্চলে বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ফেডারেল এজেন্টরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
এছাড়া শুক্রবার রাতেও সংঘর্ষ হয়। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানোর সময় বিক্ষোভকারীরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়।
আইসিই’র বরাতে বিবিসি আরও জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসে চলতি সপ্তাহে মোট ১১৮ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু শুক্রবারই গ্রেপ্তার করা হয় ৪৪ জনকে।
গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হয়ে ‘মুক্তি দাও, মুক্তি দাও’ স্লোগান দিতে থাকেন।
এসআইএস
