ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২৪১ আরোহী নিহত হয়েছেন। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজটি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানান, উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৪২ আরোহীর মধ্যে ২৪১ জন মারা গেছেন। ওই উড়োজাহাজে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে একটি মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ওপর গিয়ে পড়ে। এতে ওই কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত হন।
দুর্ঘটনাস্থলের দৃশ্যে দেখা যায়, উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ হোস্টেলের ডাইনিং হলের দেয়াল ভেদ করে ঢুকে পড়ে। কিছু প্লেটের ওপর তখনও খাবার দেখা যাচ্ছিল।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি অস্বাভাবিকভাবে নিচুতে উড়ছিল এবং উঁচুতে উঠতে হিমশিম খাচ্ছিল। এরপর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে এটি মাটিতে আছড়ে পড়ে বিকট বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে যায়। যেহেতু বিমানটি লন্ডনের দীর্ঘ রুটে যাচ্ছিল, তাই এতে বিপুল পরিমাণে জ্বালানি ছিল।
উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই পাইলট ‘মে-ডে’ সংকেত পাঠান। এরপর বিমান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক সঞ্জয় লাজার জানান, বিমানটি স্পষ্টতই উচ্চতা অর্জন করতে পারছিল না।
এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। ফ্লাইটে ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক।
বেশ কয়েকটি ভিডিওতে আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দৃশ্যও ধরা পড়েছে। অন্তত দুই ডজন অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে রয়েছে। পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের সড়কে যান চলাচল সীমিত করেছে।
দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জারাপু এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া পোস্টে জানান, তিনি নিজে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, দুর্ঘটনার ঠিক আগে পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার মে-ডে কল পাঠিয়েছিলেন।
আরএইচ