যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তিচুক্তি হওয়া উচিত এবং সেই চুক্তি তিনিই করাবেন।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের উত্তেজনা প্রশমনে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন, তা অনেকেই স্বীকার না করলেও সাধারণ মানুষ তা বোঝে।
তিনি বলেন, যেভাবে আমি ইউক্রেন-রাশিয়া আর ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সহায়তা করছি, সেভাবেই খুব শিগগিরই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আসবে! এখন বহু ফোনকল ও বৈঠক চলছে।
এদিকে ফক্স নিউজে দেওয়া সাক্ষাতকারে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, চুক্তি তখনই অর্থবহ হবে, যদি প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) যা চান — অর্থাৎ তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি প্রত্যাহার।
তবে নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেন, ইসরায়েল এমন কোনো চুক্তির জন্য অপেক্ষা করবে না।
তিনি বলেন, ধরা যাক, ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করলো, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর কাজ থামাবে। এটা শুধু যুদ্ধবিরতির প্রশ্ন নয়, বরং আমাদের অস্তিত্বকে ঘিরে হুমকি থামানোর প্রশ্ন।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, সাম্প্রতিক হামলায় ইরানকে তারা অনেকটা পিছিয়ে দিতে পেরেছেন। ইরান পুরোপুরি বিস্মিত হয়েছে, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন ‘তেহরানের দিকে ফ্রি হাইওয়ে’ পেয়ে গেছি— মানে, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী এখন ইরানজুড়ে টার্গেট বেছে আঘাত হানতে পারছে।
নেতানিয়াহু একাধিকবার ট্রাম্পের প্রশংসা করেন এবং বলেন, তারা ‘সম্পূর্ণ সমন্বিতভাবে কাজ করছেন’। যদিও ট্রাম্প নিজে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি জড়িত নয়।
যখন নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি ট্রাম্পের কাছ থেকে মার্কিন ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা চেয়েছেন কি না — যা ভূগর্ভস্থ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম — নেতানিয়াহু বলেন, আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার আলোচনার বিস্তারিত বলবো না।
এমএম