ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটি জানিয়েছে মার্কিন ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার পরিকল্পনায় ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্ত হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন ট্রাম্প।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির মার্কিন অংশীদার হিসেবে সিবিএসের এই প্রতিবেদন সামনে আসার পর নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে— যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়াতে যাচ্ছে কি না।
সিবিএস জানায়, ইরানের যে কটি পারমাণবিক স্থাপনায় সম্ভাব্য হামলার কথা ভাবা হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘ফোর্দো’ পারমাণবিক স্থাপনা। এটি একটি পাহাড়ের নিচে অবস্থিত এবং ইরানের অন্যতম সুরক্ষিত স্থাপনা হিসেবে পরিচিত।
বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের মধ্যে এই পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে এবং এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
হোয়াইট হাউস জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি চলে এক ঘণ্টা ২০ মিনিট। বৈঠক শেষে ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করেননি এবং প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
সংঘাত শুরুর পর থেকেই ট্রাম্প বলে আসছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। তবে মাঝে মধ্যেই তিনি পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন— একবার ইরানের সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনার কথা বলেন, আবার কখনো ইরানকে হুঁশিয়ারিও দেন।
আরএইচ