ঢাকা: ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রাজনৈতিক) মজিদ তাখত রাভানচি কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-খলিফির সঙ্গে টেলিফোন আলাপ করেছেন। ফোনালাপে তারা তেহরান ও দোহার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন এবং সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার ইরান দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মজিদ তাখত ও আল-খলিপির ফোনালাপে সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় হয়েছে।
টেলিফোন আলাপে তাখত রাভানচি ইরান ও কাতারের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী, বন্ধুত্বপূর্ণ ও মজবুত সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান পারস্পরিক মঙ্গল এবং সদ্ভাবপূর্ণ প্রতিবেশের ভিত্তিতে দুই দেশের সম্পর্ক অব্যাহত রাখা ও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর উসকানিমূলক ও অপকর্মমূলক কর্মকাণ্ড এই অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টি ও বিভাজন ঘটাতে পারে, তবে ইরান কখনোই এসব কর্মকাণ্ডকে সফল হতে দেবে না।
তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সমঝোতার মাধ্যমে এই হুমকির মোকাবিলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তাখতে রাভানচি কাতারের গঠনমূলক ও ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন, যা আঞ্চলিক উত্তেজনা হ্রাস ও নিরাপত্তা সংকট প্রশমনে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
মোহাম্মদ আল-খলিফিও ইরান ও কাতারের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে এবং তার দেশ এ বিষয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।
গত ১৩ জুন ভোরে ইসরায়েল বিনা উসকানিতে ইরানে বিমান হামলা চালালে এর পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে তেহরান। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান গত সোমবার (২৩ জুন) রাতে কাতারে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
এটিকে কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে দোহা। অবশ্য কাতারেরই মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতে বিরতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
টিআর/এইচএ/