যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি চান। পাশাপাশি তিনি নোবেল পুরস্কার অর্জন করতে চান।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফরাসি সম্প্রচারমাধ্যম বিএফএমটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরটি এ খবর প্রকাশ করেছে।
ওই সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট আমি এমন এক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখছি যিনি সক্রিয়, যিনি শান্তি চান, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারও চান। কিন্তু এই পুরস্কার তখনই সম্ভব, যদি আপনি এই যুদ্ধ থামাতে পারেন।
তিনি ট্রাম্পকে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ ও হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বার বার করা মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানেই হামাসকে পুরস্কৃত করা নয়। বরং এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করবে এবং হামাসকে আলাদা করে দেবে।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নিজের ভাষণে ট্রাম্প বরাবরের মতো দাবি করেন, তিনিই নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য। ট্রাম্প বলেন, আমি সাতটি ‘অসাধ্য’ যুদ্ধের ইতি টেনেছি। সবাই বলে, আমার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত।
তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, এটি ৭ অক্টোবরের ভয়াবহ হামলাসহ ‘ভয়ংকর নৃশংসতাকে পুরস্কৃত করার সামিল’। গাজায় যুদ্ধবিরতি আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন দাবি করে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, হামাস বারবার ‘যৌক্তিক শান্তি প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিজের ভাষণে ম্যাক্রোঁ বিশ্ব সংস্থাটির প্রয়োজনীয়তার পক্ষে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আজ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে জাতিসংঘের সহযোগিতার চেতনা দরকার। তবে ট্রাম্প জাতিসংঘকে অকার্যকর বলে আখ্যা দেন এবং এর ভাঙা এসকেলেটর ও নষ্ট টেলিপ্রম্পটার নিয়ে উপহাস করেন।
ম্যাক্রোঁ স্বীকার করেন যে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলেও চূড়ান্ত সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই মূল প্রভাব রয়েছে। তার ভাষায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেবল একজনই পরিবর্তন আনতে পারেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা বর্তমানে গাজা সিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং হামাস আত্মসমর্পণ না করলে শহর ধ্বংসের হুমকি দিচ্ছে। গাজায় মৃতের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে বলে জানানো হলেও অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু লাশ চাপা পড়ে থাকায় প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।
এমজে