জেরুজালেম: গাজা উপকুলে অবরোধ উপেক্ষা করা ত্রাণবাহী জাহাজ র্যাচেল কোরির আটক মানবাধিকারকর্মীদের শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
জাহাজের ১১ প্রচারকর্মী ও ৮ জন ক্রু এ সংক্রান্ত কাগজে স্বাক্ষর করেছেন।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী শনিবার আয়ারল্যান্ডের ত্রাণবাহী নৌযান র্যাচেল কোরি দখলে নেয়। তবে এ অভিযান শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে গাজা উপকুলে অবরোধ ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে সাইপ্রাস-ভিত্তিক ‘ফ্রি গাজা মুভমেন্ট’ আবারও ত্রাণবাহী জাহাজ পাঠাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
গাজা অভিমুখী অপর কয়েকটি নৌযান বহরে ইসরায়েলি হামলায় মানবাধিকারকর্মীসহ ৯ জন নিহত হবার কয়েকদিন পর এ ঘটনা ঘটলো। নিহত ওই ৯ জন মানবাধিকারকর্মীর মরদেহের ময়নাতদন্তের পর নিহতদের দেহে মোট ৩০টি বুলেট পাওয়া গেছে বলে গতকাল শনিবার তুরস্কের কর্মকর্তারা জানান। এদের মধ্যে একজনের মাথায় চারবার গুলি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ইসারয়েলের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নৃশংস ঘটনার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কেননা, নিহতদের ৯ জনই ছিলেন তুরস্কের নাগরিক। তবে আত্মরক্ষার্থে হামলা চালানো হয় বলে ইসরায়েল বরাবরই দাবি করে আসছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এ হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিওফ্রে পালমারকে এ প্যানেলের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্ত কমিশনে ইসরায়েল, তুরস্ক ও মার্কিন প্রতিনিধিও থাকবেন।
তবে এ বিষয়ে মহাসচিবের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। ইসরায়েল এ তদন্তের বিরোধিতা করলেও এ বিষয়ে চাপ বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪৩০ ঘন্টা, ৬ জুন, ২০১০
এনজে/এএইচএস/জেএম