কোলকাতা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি ট্রেনের সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। সোমবার খুব সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
কোলকাতা থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরে বীরভুম জেলার একটি রেলস্টেশনে একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিলো। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির সঙ্গে একই রেললাইন ধরে পেছন থেকে আসা আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি যাত্রী নিহত ও প্রায় ১২০ জন আহত হন।
জরুরিকর্মীরা মৃতদেহ ও আহতদের দুর্ঘটনার স্থান থেকে টেনে বের করছে। পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানান, “নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে গেছে। আমরা এখনো কিছু মৃতদেহ বের করার চেষ্টা করছি। ”
ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের এখনো সন্দেহ রয়েছে, এই বিপর্যয়ের পেছনে কারা জড়িত। ” তিনি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ রুপি ও আহতের এক লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় রেলের ট্রাফিক ম্যানেজার সুনীল ব্যানার্জি বলেন, “নিহত সবাই অসংরক্ষিত বগির যাত্রী ছিলেন। ফলে আমরা তাদের কারোরই নাম-ঠিকানা পাইনি। ” দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি। সচরাচর ওই বগিতে যাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে যাতায়াত করেন।
এর দুই মাসেরও কম সময় আগে পশ্চিমবঙ্গে আরেকটি ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় প্রায় ১৫০ জন নিহত হয়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনার জন্য মাওবাদীদের দায়ী করা হয়ে থাকে।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত উচ্চগতির ট্রেন ভারতে এখনো দূরপাল্লার যাত্রীদের এখনো মূল ভরসা। ভারতে প্রতিদিন এক কোটি ৮৫ লাখ মানুষ এসব ট্রেনে যাতায়াত করেন। প্রতিবছর গড়ে ৩০০টা দুর্ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১০