ঢাকা: মার্কিন পুলিশের গুলিতে মার্টিন নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহতের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিসৌরি। ঘটনার প্রতিবাদে মিসৌরির সেন্ট লুইসের ফার্গুসেন শহরের নিকটবর্তী বার্কলেতে বিক্ষোভকারীরা একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে জড়ে হয় ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, অ্যান্টনিও মার্টিন নামে ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণ পুলিশের গুলিতে নিহতের পর প্রায় তিনশ’ বিক্ষোভকারী বার্কলের একটি পেট্রোল পাম্পে জড়ো হয়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
সেন্ট লুইস কাউন্টি পুলিশ প্রধান জন বামার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ৫০ জন পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে দুই পুলিশ আহত হন।
বার্কলের মেয়র থিয়োডর হসকিন্স জানান, মাইকেল ব্রাউনের ঘটনার সঙ্গে বুধবারের ঘটনার পার্থক্য রয়েছে। ‘ফার্গুসনের ওই ঘটনার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই’।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মার্কিন পুলিশের গুলিতে অ্যান্টনিও মার্টিন নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহত হয়। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিসৌরি।
অ্যান্টোনিও মার্টিন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গে সেন্ট লুইস কাউন্টি পুলিশের দাবি, একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে অস্ত্র তাক করেছিলো নিহত ব্যক্তি।
পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট ব্রায়ান শেলম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, রুটিন টহলের অংশ হিসেবে এক পুলিশ কর্মকর্তা বার্কলের একটি পেট্রোল স্টেশনে টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় দুই ব্যক্তি তাকে চ্যালেঞ্জ করে। তাদের একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে অস্ত্র তাক করলে আত্মরক্ষার্থে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন। এতে অস্ত্র তাক করা ব্যক্তি মারা যান এবং অপর জন পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪