ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকেই সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাশিয়া।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাক্ষরিত নতুন একটি সামরিক কর্মপরিকল্পনায় (মিলিটারি ডকট্রিন) মস্কোর এ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়।
ন্যাটোকে মস্কোর ক্ষমতাসীনদের সবচেয়ে বড় হুমকি বলে চিহ্নিত করার পাশাপাশি নতুন এ সামরিক কর্মপরিকল্পনায় বিদেশি আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রচলিত অস্ত্রের ব্যবহার আরও বাড়ানোর সম্ভাবনার কথাও বলা হয়।
এছাড়া, ২০১০ সালে প্রণীত কর্মপরিকল্পনায় পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের যে কথা বলা হয়েছিল সেটিও নতুন কর্মপরিকল্পনায় রেখেছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে প্রণীত এই সামরিক কর্মপরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা শক্তিদের রাশিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টার জোরালো জবাব দিতে ক্রেমলিনের সার্বক্ষণিক প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে।
স্নায়ুযুদ্ধের পর ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশেষত ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপে গত মার্চে মস্কোর উপস্থিতির পর ন্যাটো সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলে রাশিয়ার সঙ্গে।
কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, যদি রাশিয়া বা এর মিত্র দেশের বিরুদ্ধে কোনো পারমাণবিক বা অন্য অস্ত্র ব্যবহার করা হয় তবে মস্কোও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। একইসঙ্গে নিখুঁত প্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করে যদি রাশিয়া রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ধ্বংসে কোনো ষড়যন্ত্র শুরু হয় তবে তারও পাল্টা জবাব দিতে কুণ্ঠাবোধ করবে না মস্কো।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, কৌশলগত প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই প্রথম নিখুঁত অস্ত্র ব্যবহারের কথা বললো রাশিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৪