নাম: লস্কর-ই-তৈয়্যবা
বার্ষিক লেনদেন: ১০ কোটি ডলার
অঞ্চল: পাকিস্তান ও ভারত
অর্থের উৎস: আর্থিক সহায়তা ও অনুদান
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে মুক্ত করে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সঙ্গে একীভূত করে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা।
পাকিস্তানভিত্তিক মৌলবাদী সংগঠনটিকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আফগানিস্তানে সোভিয়েত সৈন্যদের উপস্থিতির বিরোধী মারকাজ আল-দাওয়া’র সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’এর সহযোগিতায় একসময় এটিই স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবে পরিচয় দিতে থাকে। যদিও পরে পশ্চিমা চাপের মুখে পাকিস্তান সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়, তথাপি লস্কর পাকিস্তানে থেকেই ভারতবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে বলে দাবি করা হয়।
লস্করের বিরুদ্ধে অনেক অপরাধের অভিযোগ উঠে চললেও এর মধ্যেই সংগঠনটি তাদের অর্থপ্রবাহ বাড়াতে থাকে। এর বার্ষিক অর্থপ্রবাহ একসময় কোটি ডলারে উন্নীত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের একটি জরিপ মতে, লস্করকে বিশেষত সহায়তা ও অনুদান দিয়ে থাকে মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাজ্যের অভিবাসী পাকিস্তানি ধনকুবেররা। এছাড়া, ভারতীয় সন্ত্রাসী চক্রসহ বিভিন্ন অপরাধী সংগঠনও লস্করকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এমনকি পাকিস্তানি সরকারও গোপনে লস্করকে সহায়তা করে থাকে বলে পশ্চিমা কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করে থাকেন।
জানুন অষ্টম ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তথ্য:
বছরে ৭ কোটি ডলার লেনদেন আল-শাবাবের
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪