ঢাকা: নির্বাচনে হেরে সামরিক বাহিনীর কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন সদ্য সাবেক শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজপাকসে। ক্ষমতায় থাকতেই রাজাপাকসের এমন ব্যর্থ চেষ্টা বলে দাবি করেছে দেশটির নতুন সরকার।
বৃহস্পতিবার (৯ডিসেম্বর) সাবেক মন্ত্রী মাইথ্রিপালা সিরিসেনার কাছে হেরে বিদায় নেন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা রাজাপাকসে। চূড়ান্ত
ফলাফলে আগেই হার মেনে নেওয়ার জন্য প্রশংসিতও হন তিনি।
তবে সিরিসেনার মুখপাত্র সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ৬৯ বছর বয়সী রাজাপাকসে ক্ষমতায় থাকতে দ্বীপ রাষ্ট্রটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রধানকে ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য প্ররোচিত করেন।
কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলা সামারাভিরা নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, রাজাপাকসে বুঝতে পেরেছিলেন তার হার নিশ্চিত। এজন্য ক্ষমতায় থাকার শেষ চেষ্টা হিসেবে তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশের কাছে সাহায্য চান। সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনী তার চাপের কাছে মাথা নত করেনি।
তিনি বলেন, মানুষ ভাবতে পারে এটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। কিন্তু আসলেই তা ছিল না।
তবে এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আর রাজাপাকসের মাখপাত্র খবরটিকে ভিত্তিহীন বলে উঁড়িয়ে দিয়েছেন।
সামারাভিরা বলেন, নতুন সরকারের প্রথম কাজ হবে সামরিক অভ্যুত্থান এবং রাজাপাকসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করা।
ভাবী এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রধানের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে পদত্যাগ করেন রাজাপাকসে।
এছাড়া ক্যু হলে তার ফলাফল ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করে দেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল।
বৃহষ্পতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিরিসেনা মোট ভোটের ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ও রাজাপাকসে পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট।
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও এটা প্রায় নিশ্চত ছিল যে রাজাপাকসে তৃতীয় দফায় পুননির্বাচিত হবেন।
মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রায় এক দশক শ্রীলংকার ক্ষমতায় ছিলেন। তার আমলেই দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা শ্রীলংকার গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি, ২০১৫