ঢাকা: মাদক চোরাচালানের দায়ে ইন্দোনেশিয়ায় আটক দুই অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার এবং দেশটির সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী।
মিউরান সুকুমারান ও অ্যান্ড্রু চ্যান নামের এ দুই অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ‘বালি নাইন’ নামে এক অপরাধ চক্রের সদস্য।
এরপর বেশ কয়েকবার আপিলের পরও মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে। এখন তা কার্যকর করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড বলেছেন, এই ক্ষমা ক্ষমা প্রদর্শন ইন্দোনেশিয়ার মাদক বিরোধী আইনের প্রয়োগকে দূর্বল করে দেবে না।
আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুড বলেছেন, ইন্দোনেশিয়া অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘ সময়ের বন্ধু রাষ্ট্র। এই বন্ধুত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমি ওই দুইজনকে ক্ষমার আহ্বান জানাচ্ছি।
এ মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো অস্ট্রেলিয়ার অন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীরা হলেন- জুলিয়া গিলার্ড, বব হক, ম্যালকম ফ্রেসার এবং পল কিটিং।
এদিকে মিউরান সুকুমারান ও অ্যান্ড্রু চ্যানকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার নুসা দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানেই তাদেরকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের এক মুখপাত্র টনি স্পনটানা বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫