ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনে উপজাতীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে হুথিদের সংঘর্ষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫
ইয়েমেনে উপজাতীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে হুথিদের সংঘর্ষ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে স্থানীয় উপজাতীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

শুক্রবার বাইদা নগরীতে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

লড়াইয়ে দুই পক্ষের ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ পাওয়া না গেলেও রাতভর সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য হতাহত ঘটেছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সূত্রগুলো।

এদিকে শুক্রবার রাজধানী সানাতে হুথিদের সমর্থনে র‌্যালির আয়োজন করে তাদের সমর্থকরা। র‌্যালিতে ইয়েমেনের অস্থিতিশীলতার জন্য বিদেশি ষড়যন্ত্রকে দায়ী করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় হুথি সমর্থকরা।

অপর দিকে একই সময় ইয়েমেনের বিভিন্ন নগরীতে অনুষ্ঠিত হয় হুথি বিরোধী বিক্ষোভ ও র‌্যালি।

ইয়েমেনের তাইজ, হোদিদা এবং ধামার সহ অন্যান্য নগরীতে অনুষ্ঠিত এসব বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা হুথি যোদ্ধাদের রাজধানী সানা দখলের নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

গণঅভ্যুত্থানে ২০১২ সালে ইয়েমেনের সাবেক স্বৈরশাসক আলি আব্দুল্লাহ সালেহর পদত্যাগের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে ইয়েমেনে।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদিকে সম্প্রতি তার প্রাসাদে গৃহবন্দী করে রাখে হুথি বিদ্রোহীরা। একই সঙ্গে ইয়েমেনের মন্ত্রিসভাও ভেঙ্গে দেয় তারা। অবশ্য পরে আন্তর্জাতিক চাপে প্রেসিডেন্ট হাদিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় হুথিরা। গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী এডেনে নিজের কার্যালয় স্থাপন করেছেন হাদি।

হুথিরা সানার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের সমর্থন এখনও প্রেসিডেন্ট হাদির প্রতি।

পাশাপাশি বৈধ সরকারের হাতে সানার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে অবিলম্বে ইয়েমেনের অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য হুথি বিদ্রোহীদের নেতা আবদেল মালিক আল হুথির প্রতি চাপ প্রয়োগ করে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

তবে গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে আঞ্চলিক ও গোষ্ঠীগত সংঘাত উস্কে দেয়ার জন্য সৌদি আরব সহ অন্যান্য বিদেশি শক্তিকে দায়ী করেছেন হুথি নেতা আবদেল মালিক।
 
এদিকে ইয়েমেনে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে দেশটির আল কায়েদা বিরোধী সামরিক অভিযান। বরং অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার সুযোগে নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ গ্রহণ করছে তারা।

বর্তমানে একই সঙ্গে সরকার ও হুথি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আল কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা।  

গত বৃহস্পতিবারও ইয়েমেনি সামরিক বাহিনীর কনভয়ে আল কায়েদার হামলায় নিহত হয় চার সেনা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।