ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মিল্কিওয়েতে দ্রুতগতির ‍মুক্ত নক্ষত্র আবিষ্কার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫
মিল্কিওয়েতে দ্রুতগতির ‍মুক্ত নক্ষত্র আবিষ্কার

ঢাকা: মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে মহাবিশ্বের প্রতিটা বস্তুই কাউকে না কাউকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে চাঁদ, সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে পৃথিবীসহ সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ এবং গ্রহাণু।

সূর্যসহ হাজার-কোটি নক্ষত্র যে ছায়াপথকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তার নাম মিল্কিওয়ে বা আকাশগঙ্গা। আর এই মিল্কিওয়েতেই আবিষ্কৃত হয়েছে দ্রুতগতির একটি মুক্ত নক্ষত্র।

যুক্তরাজ্যের কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই নক্ষত্র আবিষ্কার করেছেন।

দ্রুতগতির এই মুক্ত নক্ষত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ইউএস-৭০৮। এর গতি সেকেন্ডে ১ হাজার ২শ’ কিলোমিটার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নক্ষত্রটির এত গতির অর্থই হল, এর উপর কোনো মধ্যাকর্ষণ শক্তি কাজ করে না এবং কোনো এক সময় এটি মিল্কিওয়ে ত্যাগ করে অন্য কোনো ছায়াপথে পাড়ি জমাবে।

ইউএস-৭০৮ এর আবিষ্কার আবারো রহস্যময় দ্বি-তারা পদ্ধতির ধারণাকে উস্কে দিল, যেখানে তাপ-পারমাণবিক (থার্মোনিউক্লিয়ার) বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।

থার্মোনিউক্লিয়ার বা টাইপ-আইএ সুপারনোভা নক্ষত্র ছায়াপথগুলোর প্রশস্ততা সহ এদের মধ্যবর্তী দূরত্ব পরিমাপে অতি সহায়ক। তবে এই ধরণের নক্ষত্র বিজ্ঞানীদের কাছে একটা রহস্য হয়েই ছিল এতোদিন।

ধারণা করা হচ্ছে, কোনো এক সময় দ্বি-তারা সৌরব্যবস্থারই একটা অংশ ছিল ইউএস-৭০৮। সে সময় এটি দানবীয় সাদা বামন নক্ষত্র ছিল। পরবর্তীতে বিশাল এক বিস্ফোরণের পর এটি থার্মোনিউক্লিয়ার সুপারনোভায় পরিণত হয়। সেই সাথে সেই বিস্ফোরণের ধাক্কাই এই নক্ষত্রকে মধ্যাকর্ষণ শক্তি থেকে মুক্ত করে মহাবিশ্বে ছিটকে পড়তে সাহায্য করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।