ঢাকা: মিশরে নিষিদ্ধঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থক বলে অভিযুক্ত করে ৪১ বিচারককে পদচ্যুত করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে দেশটির একটি ডিসিপ্লিনারি কোর্ট।
ব্রাদারহুডবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার (১৪ মার্চ) এই পদক্ষেপ নিলো সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসির সরকার।
বিচার বিভাগীয় সূত্রকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ২০১৩ সালের জুলাইয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সেনাঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রীয় সিংহাসন দখল করা সিসি বরাবরই কট্টরপন্থি ব্রাদারহুড দমনে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন।
বিচারপতি নাবিল জাকির নেতৃত্বাধীন ডিসিপ্লিনারি কোর্ট এই আদেশের কোনো কারণ তাৎক্ষণিকভাবে না জানালেও বিচার বিভাগীয় সূত্র বলছে, মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ওই সময় নিন্দা জানিয়ে ৩১ জন বিচারক বিবৃতি দেওয়ায় প্রায় বছর দেড়েক পর তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হলো। এছাড়া, মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করারও আগে ব্রাদারহুডকে সমর্থনের লক্ষ্যে গঠিত ‘জাজেস ফর ইজিপ্ট’ গ্রুপে যোগ দেওয়ায় বাকি ১০ জনকে প্রায় আড়াই বছর পর শাস্তির মুখোমুখি করা হলো।
মিশরীয় আইনে বিচারকদের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সমালোচক ও মানবাধিকারকর্মীরা দাবি করছেন, ডিসিপ্লিনারি কোর্ট এক তরফাভাবে প্রেসিডেন্ট সিসি সমর্থক বিচারকদের রেহাই দিয়ে বাকিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে যাচ্ছেন।
যদিও সেনাসমর্থক সরকারের তরফ থেকেও দাবি করা হয়েছে, বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন এবং সরকার কখনোই বিচার বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না।
ব্রাদারহুড সমর্থনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও শাস্তি পাওয়া আহমেদ আল-খাতিব নামে এক বিচারক বলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত আমাদের স্তম্ভিত করেছে এবং এটা বিচারকদের ওপর একরকমের ‘গণহত্যা’ । ”
অবশ্য, এই আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনের সুযোগ পাবেন পদচ্যুত বিচারকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫