ঢাকা, সোমবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৮ জুলাই ২০২৪, ০০ মহররম ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পুলিশে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের

সিঙ্গাপুরের জনক লি কুয়ানের মৃত্যুর খবর ভুয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৫
সিঙ্গাপুরের জনক লি কুয়ানের মৃত্যুর খবর ভুয়া ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সিঙ্গাপুরের জাতির জনক ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ মৃত্যুবরণ করেছেন বলে যে খবর ছড়িয়েছে তা ভুয়া বলে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ গুজব ছড়ানোয় সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ বিভাগে অভিযোগ কর‍া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রাষ্ট্রটির সর্বোচ্চ কার্যালয়।



বুধবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সিএনএন, চীনের সিসিটিভিসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম লি কুয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর দেয়। এক্ষেত্রে তারা সিঙ্গাপুর ‘সরকারের একটি ওয়েবসাইট’কে উদ্ধৃত করে।

১০ মিনিট পরই সিএনএনের টুইটারে বলা হয়, ‘লি কুয়ানের ব্যাপারে সিঙ্গাপুর সরকারের যে বিবৃতি ছড়িয়েছে সেটা সম্ভবত অফিসিয়াল নয়’।

একইভাবে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে সিসিটিভি সহ অন্য সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ‘ওই খবরটি অসত্য’। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দুঃখও প্রকাশ করে।

এই বিভ্রান্তির প্রেক্ষিতে সিঙ্গাপুরের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে লি কুয়ানের স্বাস্থ্যের অবস্থা গুরুতর বলে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তারপর আর নতুন কোনো তথ্য নেই।

এদিকে, লি কুয়ানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিসহ বিশ্ব নেতারা। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি শেইন লুংকে পাঠানো এক বার্তায় প্রণব বলেন, ‘লি কুয়ানের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি’।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন লি কুয়ান। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকায় সবশেষে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

ব্রিটেন থেকে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করা লি কুয়ান টানা ত্রিশ বছর স্বপদে আসীন থাকেন। এই তিন দশকে ভগ্ন অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে তুলে এশিয়ার অন্যতম ধনী দেশে পরিণত করেন দেশটিকে। এ কারণে সিঙ্গাপুরে তিনি গভীর শ্রদ্ধার পাত্র।

১৯৯০ সালে লি কুয়ান অবসরে গেলে তারই সহকারী গোহ শক টং ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন। এরপর কুয়ানের দ্য পিপল’স অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) অপর নেতা লি শেইন লুং ক্ষমতায় আসেন।

১৯৫৯ সালের পর লি কুয়ানের দল পিএপি কখনোই নির্বাচনে পরাজিত হয়নি। বর্তমান সংসদের ৮৭টি আসনের মধ্যে ৮০টিই জনপ্রিয় এই দলটির দখলে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৫/আপডেট ২২২০ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।