ঢাকা: ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের দমনে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয় রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন দেশটির বন্দরনগরী এডেনভিত্তিক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ ইয়াসিন।
সোমবার (২৩ মার্চ) সৌদি রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র আশরাক আল-আসওয়াতের সাথে কথা বলার সময় এ অনুরোধ জানান তিনি।
আনসার আল্লাহ বা হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের জাইদি শিয়া সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন। জাইদিরা ইয়েমেনের মোট জনসংখ্যার একতৃতীয়াংশ। জাইদি শিয়ারা হযরত হোসেন (রা.) এর দৌহিত্র যায়েদ ইবনে আলির অনুসারী। দীর্ঘ দিন ধরেই সানার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে হুথিরা। তবে ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আব্দুল মালিক আল-হুথির নেতৃত্বে ইয়েমেনের সরকারকে হটিয়ে রাজধানী সানা দখল করে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। সানা থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রেসিডেন্ট আবদু রাবু মনসুর হাদি বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী এডেন থেকে তার সরকার পরিচালনা করছেন।
এদিকে রোববার (২২ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে ইয়েমেনে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জামাল বেনোমার ইয়েমেন গৃহযদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। পাশাপাশি সংকট নিরসনে দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজে বের করার প্রতিও তাগিদ দেন তিনি।
জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকের পরই সোমবার পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয় দেশ বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমন্বয়ে গঠিত গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) কাছে সেনাবাহিনী চেয়ে ‘হস্তক্ষেপ’ কামনা করেন প্রেসিডেন্ট হাদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ ইয়াসিন।
তবে ‘হস্তক্ষেপ’ বলতে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। আশরাক আল-আসওয়াত সংবাদপত্রের কাছে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি শুধু বলেছেন, ইয়েমেনের দক্ষিণে হুথির অগ্রসরকে থামাতে হবে।
একই সঙ্গে এডেনে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বিমান হামলার ঘটনায় জিসিসি ও জাতিসংঘের প্রতি ইয়েমেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ আরোপেরও আবেদন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ ইয়াসিন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫