ঢাকা: ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে সৌদি আরব।
দেশটির প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর হাদির বৈধ সরকার রক্ষায় এ অভিযান শুরু হয়েছে বলে বুধবার (২৫ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আদেল আল-জুবেইর।
২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক সময় রাত ১১টার এ অভিযান শুরু হয় জানিয়ে জুবেইর বলেন, ইয়েমেনের জনগণ ও সরকারকে রক্ষায় সৌদিআরব যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত আছে।
এর আগে ইয়েমেন সরকার জাতিসংঘ ও গালফ কাউন্সিলভুক্ত উপসাগরীয় ছয় দেশ- সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হুথিদের দমনে দেশটিতে ‘হস্তক্ষেপ‘ কামনা করে। সৌদি আরব ছাড়া বাহরাইন, কুয়েত, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতও প্রেসিডেন্ট হাদির ডাকে সাড়া দেবেন বলে জানা গেছে।
ইরানি পৃষ্ঠপোষকতাপুষ্ট শিয়া হুথি বিদ্রোহীরা সম্প্রতি ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ বেশ কিছু অঞ্চল দখল করে দেশটির প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে সানা থেকে পালিয়ে বন্দর নগরী এডেনে চলে যেতে বাধ্য করে।
আনসার আল্লাহ বা হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনে একটি জায়দি সম্প্রদায়ভুক্ত শিয়া সংগঠন। জায়দি শিয়ারা হযরত হোসেনের (রা.) দৌহিত্র জায়দ ইবনে আলির অনুসারী। সংগঠনটির নামকরণ করা হয় হুসেইন বাদরেদ্দিন আল-হুথির নাম থেকে। ২০০৪ সালে ইয়েমেনে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। তাকেই নিজেদের আধ্যাত্মিক নেতা মনে করে হুথিরা।
এদিকে সৌদি আরবের অভিযান শুরুর ঘোষণা আসার পরপরই রাজধানী সানার বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
তবে অভিযানের ব্যাপারে সৌদি আরবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হুথি বিদ্রোহীদের ঊর্ধ্বতন নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি বলেন, ইয়েমেনে আগ্রাসন চালালে এই অঞ্চলে বিশাল এক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৫