ঢাকা: পাপুয়া নিউগিনিতে আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামি। সোমবার সকালে দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে সাড়ে সাত মাত্রার ভূ-কম্পনটি অনুভূত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উপকূলে আছড়ে পড়ে স্বল্প মাত্রার সুনামি ঢেউ।
উপকূলীয় শহর রাবাউলে আধা মিটার (দেড় ফুট) তরঙ্গ বিশিষ্ট সুনামি আঘাত হানে বলে জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ডিজাসটার সেন্টারের পরিচালক মার্টিন মোস। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানা গেছে।
ভূমিকম্পের পর পাপুয়া নিউগিনির উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা খানিকটা বাড়তে দেখা গেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস টুডে পত্রিকা।
পাপুয়া নিউগিনির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাবাউল শহর সংলগ্ন ভূপৃষ্ঠের ৪০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ছিলো সোমবারের ভূমিকম্পটির উৎসস্থল।
সাড়ে সাত মাত্রার শক্তিশালী ভূ-কম্পনটি অনুভূত হওয়ার পরপরই পার্শ্ববর্তী সলোমন দ্বীপপুঞ্জে তিন সেন্টিমিটার তরঙ্গ বিশিষ্ট সুনামি সৃষ্টি হওয়ার কথা নিশ্চিত করে হাওয়াইয়ের প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার।
এছাড়া ভূমিকম্পের কারণে তিন মিটার তরঙ্গ দৈর্ঘে্যর সুনামি পাপুয়া নিউগিনির উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করে দেয় তারা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্যান্য দেশসহ এমনকি রাশিয়া পর্যন্ত এই সুনামি পৌঁছানোর শঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে।
পাপুয়া নিউগিনিসহ প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলে ভূমিকম্প একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বিশেষ করে পাপুয়া নিউগিনি ‘রিং অব ফায়ার’ নামে ভূকম্পন প্রবণ একটি এলাকায় অবস্থিত।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পৃথিবীর পরিধি বরাবর একটি বৃত্তের মতো অঞ্চল রয়েছে, যেখানে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত প্রায় নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার। তাই এই অঞ্চলকে ‘রিং অব ফায়ার’ বলে অভিহিত করে থাকেন বিজ্ঞানীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫
** পাপুয়া নিউগিনিতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামির শঙ্কা