ঢাকা: তিনি অহিংস আন্দোলনে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত। তবে আশ্চর্যজনকভাবে হলেও যুদ্ধবাজ জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের সাথে ছিল তার দারুন সখ্যতা।
১৯৩৯ সালে জার্মান বাহিনী পোল্যান্ড আক্রমণের মাস খানেক আগে বন্ধু হিটলারকে চিঠি লেখেন মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে চিঠিটি কখনোই পৌঁছায়নি প্রাপকের হাতে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান।
চিঠিটি লেখা হয় ১৯৩৯ সালের ২৩ জুলাই। সেসময় চেকস্লোভাকিয়ায় জার্মান পদক্ষেপ ও পোল্যান্ডের সাথে কয়েক বছর ধরে চলে আসা যুদ্ধপূর্ব উত্তেজনা তুঙ্গে। ঠিক এ সময় প্রিয় বন্ধুকে যুদ্ধ এড়ানোর পরামর্শ দিয়ে চিঠিটি লেখেন গান্ধী।
চিঠিতে তিনি লেখেন, বন্ধুরা আমাকে মানবতার দোহাই দিয়ে তোমাকে চিঠি লিখতে চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমার পক্ষ থেকে কোনো অপ্রাসঙ্গিক চিঠি তুচ্ছও হয়ে উঠতে পারে বলে আমি তাদের এ অনুরোধ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছি। কিছু বিষয় আমাকে বলছে, আমার চিঠির গ্রহনযোগ্যতার বিষয়টি আর হিসাব না করতে। সেই সঙ্গে তোমাকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখার তাড়নাও বাড়ছে।
গান্ধী আরো লেখেন, তুমি আজকের বিশ্বে এমন একজন হয়ে উঠেছ, যে চাইলে যুদ্ধ এড়াতে পারে। এমনকি চলমান যুদ্ধ থামিয়েও দিতে পারে। আর তোমার এই পদক্ষেপই ধ্বংসের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা মানবতাকে বাঁচাতে পারে। তুমি কি যুদ্ধনীতি থেকে দূরে থাকা কারোর অনুরোধ শুনবে? যাই হোক, চিঠি লিখে ভুল করে থাকলে তোমার ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে এই চিঠি কখনোই হিটলারের হাতে পৌঁছায়নি। এটি লেখার ৩৮ দিন পর ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর হিটলারের নির্দেশে পোল্যাণ্ড আক্রমণ করে জার্মান বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৫