ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ইসলামাবাদে বিমান বিধ্বস্ত, ১৫২ আরোহীর সবাই নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১০
ইসলামাবাদে বিমান বিধ্বস্ত, ১৫২ আরোহীর সবাই নিহত

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৫২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক এ তথ্য জানিয়েছেন।



ভারি বৃষ্টিপাত ও বিমানের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় বুধবার সকালে পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয় বলে বিধ্বস্ত ওই বিমানটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, মানবদেহের টুকরো অংশগুলো দুর্ঘটনাস্থলে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। পাকিস্তানি বিমানসংস্থার গত ১৮ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।

বেসরকারি বিমানসংস্থা এয়ারব্লু’র ইডি ২০২ মডেলের বিমানটি করাচি থেকে ইসলামাবাদে আসছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিস্ফোরণের আগে বিমানটি কম উচ্চতায় উড়ছিলো।

পাকিস্তান থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি’র সংবাদদাতা জানান, দু’টি পাহাড়ের গিরিখাদের মধ্যে সড়ক থেকে বেশ দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে উদ্ধার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। অপেক্ষায় থাকা হেলিকপ্টারগুলো থেকে ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিলো না।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রেহমান মালিক এক্সপ্রেস টিভিকে জানান, “কেউ বেঁচে নেই”। তিনি বলেন, সবার দেহ ছিন্নভিন্ন ও টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “এটা একটি বড় ট্রাজেডি। সত্যিই বড় ট্রাজেডি। ”

বিমানে দুই জন মার্কিন নাগরিক ছিলেন বলে য্ক্তুরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে। এয়ারব্লু’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানে ১৫২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৬ জন ক্রু।

দেশটির পুলিশপ্রধান বনি আমিন বলেন, “দুর্ঘটনাস্থলে মানুষের শরীরের টুকরো টুকরো অংশ পাওয়া গেছে। আমরা একটি যন্ত্র পেয়েছি। সেটা সম্ভবত ব্ল্যাক বক্স। এখন বিশেষজ্ঞরা এটা পরীক্ষা করে দেখবেন। ”

এ ঘটনায় পাকিস্তান সরকার এক দিনের জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছে।

উদ্ধারকর্মী আরশাদ জাভেদ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, “চার জন পুলিশসহ আমি ও আমার সহকর্মীরা মিলে দুর্ঘটনাস্থলে অঞ্চলে যাই। বিমানের টুকরো অংশগুলো চারদিকে ছড়িয়ে থাকতে দেখি। এ সময় আগুন জ্বলছিল। ”

তিনি আরও বলেন, “পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া হাত-পা পড়ে থাকতে দেখেছি আমরা। আমি একটি ব্যাগের মধ্যে দু’টি মাথা, দু’টি পা ও দু’টি হাত সংগ্রহ করেছি। ’’ তার ভাষায় ‘‘ জীবিত কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা চিৎকার করলেও কেউ সাড়া দেয়নি। ”

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১০


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।