ঢাকা: আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা হিমালয়কন্যা নেপালে চলছে মৃত্যুর মিছিল। সেই সঙ্গে ভূমিকম্প পরবর্তী পরাঘাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল পর্যন্ত নেপাল মোট একশ’ দশটি পরাঘাতে কেঁপে ওঠে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সিংহভাগের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ এর ওপরে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২২ মিনিটে একটি পরাঘাতে কেঁপে ওঠে নেপাল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৭।
এদিকে, ভূকম্পন পরবর্তী পরাঘাতগুলোর আতঙ্কে বুধবারও (২৯ এপ্রিল) খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছে নেপালের জনগণ। এদের বেশিরভাগেরই বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বাকিরা আতঙ্কে ঘরে ফিরতে পারছে না।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, নেপালের স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়ংকর এই ভূমিকম্পে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছে আরো অন্তত দশ হাজার। নিহতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে, ভূমিকম্পে পাঁচ লাখের মতো বাড়িঘর পুরোপুরি, নতুবা আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে অন্তত দুই লাখ মানুষ।
এই প্রানঘাতী ভূমিকম্পে অন্তত আশি লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এছাড়া দশ লাখ শিশুর ওপর এর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটির শিশু বিষয়ক সংগঠন ইউনিসেফ।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতে একযোগে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯।
ভূমিকম্পের পরপরই এর প্রভাবে আগামী ‘কয়েক সপ্তাহ’ ধরে নেপালে আরও বেশ কয়েকটি ভূকম্পনের আশঙ্কা প্রকাশ করে ব্রিটিশ জিওলজিক্যাল সার্ভে। এসময় ভূকম্পন পরবর্তী আঘাতগুলোর মাত্রা রিখটার স্কেলে সাড়ে ছয় ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫/আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা
আরএইচ