ঢাকা: আট দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা হিমালয়কন্যা নেপালে সুপেয় পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে সুব্যস্থার অভাবে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এসব রোগ মহামারী আকারে দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন সেখানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এরই মধ্যে নেপালের বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়া, পেটে ব্যাথা ও অন্যান্য রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে শুক্রবার (০১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
নেপালী সেনাবাহিনীর চিকিৎসক কিশোর রানা বলেন, বিভিন্ন গ্রামেই হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। এখন ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর ওপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
এদিকে, ভূমিকম্পে নেপালে বেশ কিছু হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রও বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। আর টিকে থাকা বেশিরভাগেই রোগী উপচে পড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এসব কেন্দ্রে চিকিৎসক ও সেবকের অভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জমেরও প্রচুর ঘাঁটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে, ভূমিকম্পে নেপালে নিহতের সংখ্যা ছয় হাজার ছয়শ’ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত ও কয়েক হাজার এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।
এর আগে প্রলয়ংকারী এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশিল কৈরালা।
এদিকে, ভূমিকম্পে নিহতদের পরিবারকে এক হাজার ডলার করে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নেপাল সরকার।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতে একযোগে আঘাত হানে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প। উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯। এরপর গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন মাত্রার শতাধিক কম্পন অনুভূত হয় বলে স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
আরএইচ