ঢাকা: ভারতের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের (সাই) ওয়াটার স্পোর্টস সেন্টারের প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেছেন এক কিশোরী সাঁতারু। একইসঙ্গে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও তিন কিশোরী সাঁতারু।
বুধবার (৭ মে) রাতে কেরালার সাই’র হোস্টেলে ‘সারবেরা অদোলাম’ নামে এক ধরনের বিষাক্ত ফল খেয়ে এই আত্মহত্যার চেষ্টা চালান ওই চার কিশোরী ক্রীড়াবিদ। এদের মধ্যে সবার বড় কিশোরী রাতেই হোস্টেলে মারা যান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে বাকি তিনজনকে সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় পুরো ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কিশোরীদের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও সেসব অস্বীকার করছেন ‘সাই’ কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চিকিৎসাধীন তিন কিশোরীর মধ্যে একজনের হুঁশ ফিরেছে। তিনিই পুলিশকে ঘটনার বিবরণ দিচ্ছেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে সারবেরা অদোলাম নামে ওই বিষাক্ত ফল নিয়ে এসে রাতে আত্মহত্যা চেষ্টা করার আগে একটি ক্ষুদে বার্তা লেখেন কিশোরীরা।
পরিবারের অভিযোগ, প্রশিক্ষকের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে কিশোরী ক্রীড়াবিদরা।
স্বজনদের আরও অভিযোগ, কিশোরীদের পেটানো হয়েছে এবং দাঁড় টানানো হয়েছে। এর আগেও বেশ ক’বার কিশোরীরা তাদের প্রশিক্ষকদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলতেন।
হাসপাতালে ভর্তি তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাদের সুস্থ করে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে, সাই’র তিন দশকের ইতিহাসে এই ঘটনাকে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও দুঃখজনক অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ইনজেতি শ্রীনিবাস বলেন, এই বিষের কোনো প্রতিষেধক নেই। এখন আমরা তাদের জন্য কেবল প্রার্থনাই করতে পারি।
এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী সারবানন্দ সোনোওয়াল। পাশাপাশি চিকিৎসাধীন কিশোরী সাঁতারুদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৫
এইচএ/