ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এইডস রোগী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সিঙ্গাপুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
এইডস রোগী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সিঙ্গাপুর ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: দুই দশক পর দেশে এইডস রোগী প্রবেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। তবে বাধা তুলে নিলেও দীর্ঘমেয়াদে থাকতে পারবেন না তারা।

একজন এইডস রোগী সর্বোচ্চ তিন মাস অবস্থান করতে পারবেন দেশটিতে।

সোমবার (৩১ আগস্ট) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর ১ এপ্রিল থেকে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে ৫ হাজারের বেশি এইডস রোগী চিকিৎসার জন্য অবস্থান করছেন।

দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানের অনুমতি না দেওয়ার পেছনে অবশ্য অন্য কারণ রয়েছে। মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, এ সুযোগে বিদেশি শ্রমিক দেশে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার যারা সন্তানের উন্নত শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের চিন্তা করছেন, তারাও সুযোগটা লুফে নিতে পারেন। এ কারণে এইডস রোগী তিনমাসের বেশি সিঙ্গাপুরে অবস্থান করতে পারবে না।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, আশির দশকের শেষ দিকে এইচআইভি ভাইরাস বিশ্বে নতুন এক প্রাণনাশী আতঙ্করূপে দেখা দেয়। সেসময় এ ভাইরাসের সংক্রমণ হলে কোনো চিকিৎসাও ছিল না। তখন সিঙ্গাপুর সরকার এইডস রোগীদের দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ায় একদিকে যেমন সুযোগ সন্ধানীরা অবৈধভাবে ঢুকে পড়তে পারবে না, অন্যদিকে এইডস আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে সিঙ্গাপুরের কেউ সংক্রমিত হওয়ারও ঝুঁকি থাকবে কম।

এইডস রোগীদের সিঙ্গাপুরে অবস্থানের ব্যাপারে নির্দিষ্ট নিয়মও সৃষ্টি করেছে সরকার। প্রথম দফায় রোগীকে দুই অথবা চার সপ্তাহের জন্য ভ্রমণ অনুমতিপত্র দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এ অনুমতিপত্রের মেয়াদ দুই বা তিন দফায় বাড়িয়ে তিন মাস পর্যন্ত করা হবে। যাদের এ অনুমতিপত্র দেওয়া হবে, তারা দেশটিতে কোনো কাজের অনুমতি পাবেন না।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও স্বল্প সময়ের জন্য এইডস রোগীদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়। এরই ধারায় এবার দিল সিঙ্গাপুর। এ অনুমতির পেছনে চিকিৎসার ব্যাপারটিই প্রাধান্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে দেশগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।