ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভক্সওয়াগনকে ২৪ লাখ গাড়ি প্রত্যাহারের নির্দেশ জার্মানির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
ভক্সওয়াগনকে ২৪ লাখ গাড়ি প্রত্যাহারের নির্দেশ জার্মানির ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ডিজেল কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাওয়া জার্মান গাড়ি নির্মাতা ও বিপণন প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগনের ২৪ লাখ গাড়ি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে জার্মান যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ক্রাফতফার্ত-বুন্দেসামত (কেবিএ)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী আলেক্সান্ডার দব্রিন্দ।

এর আগে ভক্সওয়াগন গাড়ি প্রত্যাহার করে নিতে পারে জানিয়ে জার্মান দৈনিক ‘বিল্ড’য়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

বিল্ড’র ওই খবরে জানানো হয়, জানুয়ারি থেকেই জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া গাড়িগুলো প্রত্যাহার শুরু করবে ভক্সওয়াগন। তবে কেবিএ প্রতিষ্ঠানটির এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। জার্মান যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে ভক্সওয়াগনকে এমন কাজ করতে দেওয়া হবে না।

এক বিবৃতিতে কেবিএ জানিয়েছে, আমরা গাড়ি প্রত্যাহার করে নিতে ভক্সওয়াগনকে নির্দেশ দিয়েছি। ২০১৬ সালের প্রথম থেকেই এ নির্দেশ বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে।

তবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগন বলছে, তারা কেবিএ’র কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এমন কোনো নির্দেশ পায়নি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি (ইপিএ) জানায়, বিশেষ সফটওয়্যার ইনস্টল করা ভক্সওয়াগনের ডিজেলচালিত গাড়িগুলোয় খুব সহজেই প্রতারণা করা যায়। নির্গমন পরীক্ষার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে এসব গাড়ির এমিশন কন্ট্রোল সিস্টেম চালু হয়ে যায়। তবে অন্য সময় এই ব্যবস্থা বন্ধ থাকে, ফলে ক্ষতিকর নাইট্রোজেন অক্সাইডের নিঃসরণ ৪০ গুণ বেশি হতে পারে।

ইপিএ’র এ তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরপরই গত মাসে ভক্সওয়াগন স্বীকার করে, বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির এক কোটিরও বেশি ডিজেলচালিত গাড়িতে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।

এর পরই দায় স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন প্রধান নির্বাহী মার্টিন উইনটারকর্ন পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে কেলেঙ্কারিতে জড়িত কর্মীদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তও নেয় ভক্সওয়াগন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।