ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কংগ্রেসে নতুন মুখ ‍আনছেন রাহুল গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
কংগ্রেসে নতুন মুখ ‍আনছেন রাহুল গান্ধী

ঢাকা: আগামী বছর মার্চ মাসে বা তার আগেই কংগ্রেসে নতুন মুখ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। ষাটোর্ধ্ব বয়সী নেতারা দলে কেবল উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।



রোববার (১৮) দলের জ্যেষ্ঠ নেতা জয়রাম রমেশ দেশটির একটি সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘৭০-প্লাস ক্যাটাগরি’র নেতাদের জন্য এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। নরেন্দ্র মোদি তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, রাহুল অন্তত সে আচরণ করছেন না।

এ বছরের শুরুতেই সাবেক পরিবেশমন্ত্রী ২০১৫ সালের মধ্যে রাহুলকে দলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব করেন। তবে রাহুল ব্যস্ত হয়ে পড়েন দল গোছানোর কাজে।

রাহুল যখন দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন কেবল তার পদ বদল হবে না-পুরো দলেই আসবে রদবদল, যোগ করেন রমেশ।

যে কারণে রাহুল জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাজে লাগিয়ে নতুনদের নিয়ে কিভাবে দল গোছাবেন, তা নির্ধারণ করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করছেন। গত কয়েক মাস ধরেই মূল কমিটিতে কারা থাকবেন, তা নির্বাচন করছেন রাহুল। দলের জন্য ত্যাগী তরুণ নেতাদেরই তিনি বাছাই করছেন বলে দাবি এই নেতার। আর দায়িত্বের বাইরে যারা থাকবেন, তাদের ওপর সন্তুষ্ট নয় দল বলে জানান তিনি।

সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে রাহুল ঘোষণা দেন, ‘২০১৫ এখনও শেষ হয়ে যায়নি’ এবং সম্ভাব্য সময় আগামী বছরের মার্চ মাস। তবে নির্দিষ্ট সময় কেবল দু’জন জানেন, একজন সোনিয়া গান্ধী, আরেকজন হলেন রাহুল গান্ধী।

রমেশ বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বে পরিবর্তন, নিঃসন্দেহেই একটি প্রজন্মের পরিবর্তন। এর আগে ১৯৮৪ সালে যখন রাজিব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হন, একইভাবে পরিবর্তন এনেছিলেন তার মা ইন্দিরা গান্ধী।

‘আমাদের এখন ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী যারা দলে (কংগ্রেস) শ্রম দিচ্ছেন তাদের দরকার। ৬০, ৭০ এবং ৮০ বছর বয়সী নেতাদের সময় শেষ’ বলেন এই নেতা।

ষাটোর্ধ্ব নেতাদের জন্যও এটা সম্মানজনক বিদায় উল্লেখ করে রমেশ বলেন, এখন জ্যেষ্ঠ নেতাদের জন্যও একটি জায়গা থাকছে। নতুন প্রজন্মের নেতারা, তাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন।

নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ‘স্যুট-বুট-কি-সারকার’ মন্তব্যের পর রাহুলের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে রমেশ বলেন, তার এই কটাক্ষটা দারুন ছিল। কংগ্রেস ভাইস-প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য কেবল ‘নেতিবাচক’ই নয়, সেই সঙ্গে বড় ধরনের ধাক্কাও। এ দিয়ে তিনি (রাহুল) বুঝিয়ে দিয়েছেন, কৃষক, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, ছাত্র ও শিক্ষকসহ সমাজের সর্বস্তরেই পৌঁছে গেছেন তিনি।

কংগ্রেস বিহার নির্বাচনের প্রচারণায় কংগ্রেসের তেমন তৎপরতা ছিল না, এমন এক মন্তব্যকে জয়রাম উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এটা সত্যি নয়। আমরা ৪০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। বিহার নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কফিনে দ্বিতীয় পেরেক হিসেবে ঠুকে যাবে। আমাদের এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে, কংগ্রেসে যে ছোটখাট সমস্যা রয়েছে তার সমাধান।

‘আমাদের চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের প্রতি মোহমুক্তি এবং হতাশা কাটিয়ে ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি করা। এটা ‍রাতারাতি হয়ে যাবে না। সেজন্য সক্রিয়ভাবে সবাইকে কাজ করতে হবে। আর পরিবর্তন আসার পর রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে যুবকদের শক্তি যোগ হলে তা দলের জন্য আরও ভালো হবে। ’

‍বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৫
এটি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।