ঢাকা: সম্পর্কের অবনতি হলেও ইরানের সঙ্গে কোনো যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখছে না সৌদি আরব। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন সৌদির উপ-যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমান।
সম্প্রতি শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে রিয়াদ। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। সেই সঙ্গে রিয়াদকে ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় তেহরান। এর পরপরই ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় সৌদি সরকার। এর জবাবে ইরানও সবধরনের সৌদি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সঙ্গে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইরানি দূতাবাসে সৌদি জেট থেকে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে তেহরান।
এ পরিস্থিতিতে সৌদি আরব ও ইরান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোহম্মদ বিন সালমান বলেছেন, সম্পর্কের যতোই অবনতি হোক, আমরা এমন কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। কারণ সৌদি-ইরান যুদ্ধের একমাত্র অর্থ, এই অঞ্চলে বড় ধরনের বিপর্যয়।
নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কে সুন্নি, কে শিয়া- এসব দেখে আদালত তার রায় দেন না। বিচারকরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ খোঁজেন এবং তা পেলে অপরাধের গভীরতা পরিমাপ করেন। এর ভিত্তিতেই আদালত তার রায় জানান। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে এই বিচারকাজ পরিচালিত হয়ে থাকে।
গত ১ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে রিয়াদ জানায়, শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরসহ ৪৭ ‘সন্ত্রাসী’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এরা সবাই ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সৌদি আরবে ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোয় আল-কায়েদার বিভিন্ন হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
ইরানের সঙ্গে নিমর আল-নিমরের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘণিষ্ঠ ছিল। ২০১১ সালে আরব বসন্তে তিনি জোর সমর্থন জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
আরএইচ