ঢাকা: ৯২ জন আরোহী নিয়ে রাশিয়ার টিইউ-১৫৪ নামের একটি সামরিক বিমান দক্ষিণ রাশিয়ার ক্রাসনোদার এলাকার কাছে কৃষ্ণসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি রোববার ভোরে রাশিয়ার সোচি শহরের কৃষ্ণসাগর সি রিসোর্ট থেকে সিরিয়ার হেমেইমিম শহরের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল।
দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে বরাত দিয়ে রুশ বার্তাসংস্থা রিয়া নভোস্তিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে আকাশে ওড়ার পরপরই টিইউ-১৫৪ বিমানটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো রিয়া নভোস্তির কাছে নিখোঁজ বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
রিয়া নভোস্তি আরও জানায়, বিমানটি মস্কোর চাকালোভ্স্কি বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। পরে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য সেটি সোচির কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী একটি বিমানবন্দরে থামে। সেখান থেকে জ্বালানি নিয়ে উড়াল দেবার পরপরই সেটি রাডারের আওতার বাইরে চলে যায়।
বিমানটি ক্রাসনোদারের পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও পরে দাবি করা হয় এটি বিধ্বস্ত হয়েছে কৃষ্ণসাগরে। তবে নিখোঁজ হবার আগে বিমানটি থেকে পাইলট কোনো প্রকার জরুরি বার্তা প্রেরণ করেননি।
রাশিয়ার একটি সূত্র বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে বলেও দাবি করেছে। তবে অন্য কোনো সূত্র সে দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
‘কারিগরি ত্রুটি অথবা পাইলটের ভুল’কে বিমানটির বিধ্বস্ত হবার কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক বিমানটির ৯২ জনের মধ্যে ৮৪ জন যাত্রী ও বাকি ৮ জন ছিলেন ক্রু। রাশিয়ার সামরিক ব্যান্ডদল আলেকসান্দ্রভ এনসেম্বলের সদস্যরা ছাড়াও বিমানটিতে সামরিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিক ছিলেন।
আরোহীদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিশ্চিত করে জানা না গেলেও এদের প্রায় সবাই প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে একটি মরদেহ কৃষ্ণসাগরতীরে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু করার জন্য কয়েকটি এমআই-এইট সামরিক হেলিকপ্টার ও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষের জন্য অনুসন্ধান শুরু করেছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে পুরো বিষয়টির তদারকি করছেন। এরই মধ্যে তিনি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
এসএইচ/জেএম