বিক্ষুব্ধ জনতা শরণার্থী ও অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা মানি না বলে স্লোগান দিতে থাকেন। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর জানায়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, যে কোনো স্বাধীন মানুষের আমেরিকায় প্রবেশের অধিকার রয়েছে। এতে নিষেধাজ্ঞা জারি যুক্তিসঙ্গত নয়।
গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) পেন্টাগনে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী ও অভিবাসী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এক নির্বাহী আদেশে সই করেন। ‘যুক্তরাষ্ট্রকে গোঁড়া ইসলামি সন্ত্রাসীদের কবল থেকে রক্ষা করতে’ ট্রাম্প এই আদেশে সই করেছেন বলে জানান তিনি।
এই আদেশের আওতায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়ার শরণার্থী ও অভিবাসী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। একইসঙ্গে যে কোনো ধরনের শরণার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে আগামী ৪ মাস। আর ৭টি দেশের ভিজিটর বা দর্শনার্থী প্রবেশ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ৩ মাসের জন্য।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে- যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণ কর্মসূচি ৪ মাসের জন্য স্থগিত, বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিরিয়ার শরণার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ, ‘উদ্বেগজনক এলাকা’ সিরিয়া ও ইরাকের পাশাপাশি ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের কোনো ভিজিটর প্রবেশে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এমন নিষেধাজ্ঞায় খোদ আমেরিকানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জরালো প্রতিবাদ জানান। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা নির্বাহী আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন স্থানীয় আদালত।
একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালত স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে এ স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এখনও তাদের সিন্ধান্তে থেকে সরে আসেনি। ফলে কেবলেই জটিলতা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৭
টিআই