ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মাটি খুঁড়ে ২০ লাখ রুপির রত্ন পেলেন কৃষক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
মাটি খুঁড়ে ২০ লাখ রুপির রত্ন পেলেন কৃষক!

ঢাকা: মাটি খুঁড়ে ভাগ্য বদল! বিভিন্ন সময় এটি কথার কথা হলেও ভারতের মধ্যপ্রদেশের কৃষক সুরেশ যাদবের ক্ষেত্রে তা বাস্তব হয়েছে। নাটকীয়ভাবেই রাজ্যের বুন্দেলখন্ডের এ কৃষক মাটি খুঁড়ে হীরা পেয়ে বনে গেলেন লাখপতি! মাটির নিচ থেকে পাওয়া তার হীরার বাজার মূল্য ১৫ থেকে ২০ লাখ রুপি। 

আপনার কাছে যদি ২৫০ রুপি থাকে তাহলে আপনিও বুন্দেলখন্ডের পান্নায় গিয়ে মাটি খুঁড়ে নিজের ভাগ্যটা যাচাই করে দেখতে পারেন। বলা তো যায় না ঘুরে যেতে পারে আপনার ভাগ্যের চাকাও! 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বুন্দেলখন্ডের পান্নায় ২৫০ রুপি জমা দিয়ে ৮ মিটার বাই ৮ মিটার জায়গা লিজ নেওয়‍া যায়।

এই এলাকাতেই যেহেতু হীরার খনি আছে, তাই খোঁড়াখুঁড়ি করলেই পাওয়া যায় হীরা! যেটা ঘটেছে ৪০ বছর বয়সী সুরেশ যাদবের ক্ষেত্রেও।  

সুরেশ যাদব বলেন, চাষবাস করে পরিবারের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারছিলাম না। বর্তমানে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এ পেশায় থেকে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়ছিল।  

‘গতবছর আমি আমার অল্প জমি ছেলেকে দিয়ে দিই। আর আমি পাতি কৃষ্ণ কল্যাণপুরায় গিয়ে কিছু জমি লিজ নিই, আর শুরু করি খোঁড়াখুঁড়ি। যদি ভাগ্যে কিছু মেলে!’
 
সুরেশ কঠোর পরিশ্রমী একজন কৃষক। দিনে অন্যের খামারে কাজ করলেও ভাগ্য বদলের আশায় রাতে লিজ নেওয়া জমিতে খনন করেন তিনি। বিভিন্ন সময় যখন সুরেশ খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করতেন তখন তার মনে হতো এই বুঝি হীরা পেয়ে গেলেন!

হাল না ছেড়ে এভাবেই কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি। আর চালিয়েছিলেন খোঁড়াখুঁড়ি। একনিষ্ট পরিশ্রমের ফল পেলেন গত সপ্তাহে, তিনি হাতে পেলেন সেই ক‍াঙ্ক্ষিত বস্তু-হীরার টুকরো।  

পাথরের টুকরোটিকে সুরেশ নিয়ে যান বিশেষজ্ঞের কাছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হীরা বিশেষজ্ঞরাও নিশ্চিত হলেন-এটাই হীরের টুকরো। যার মূল্য প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখ রুপি।  

হার-খাটুনি পরিশ্রমে পাওয়‍া ৫ দশমিক ৮২ ক্যারেট হীরা বদলে দিচ্ছে সুরেশ ও তার পরিবারের ভবিষ্যত! 

জেলা খনন কর্মকর্তা সন্তোষ সিং জানান, বিশেষজ্ঞরা সুরেশের পাওয়া হীরাকে অতি মূল্যবান ও ভালোমানের বলে জানিয়েছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এটি নিলামে তোলা হবে।  

২০১৫ সালে ওই এলাকায় অনন্ত সিং যাদব নামে এক ব্যক্তি ১২ দশমিক ৯৩ ক্যারেটের হীরা পেয়েছিলেন। তখন প্রতি ক্যারেট দুই লাখ করে দাম ধরেছিলেন সংশ্লিষ্টরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৭
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।