ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মাতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষোভ ঝাড়লেন কিউই নেত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৭
মাতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষোভ ঝাড়লেন কিউই নেত্রী

মাতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দল লেবার পার্টির নবনির্বাচিত প্রধান জেকিনডা আরদ্রান। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটির এক টেলিভিশন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, রাজনৈতিক ক্যারিয়ার আর সন্তান জন্মদান—এ দু’টোর মধ্যে ভবিষ্যতে তিনি কোনটাকে বেছে নিতে আগ্রহী। ঠিক পরের দিনের আরেক অনুষ্ঠানে একই ধাঁচের প্রশ্ন। 

শুনেই ক্ষুব্ধ জেকিনডা বলেন, কর্মস্থলে নারীদের মাতৃত্ব পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করাটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।  

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনের আগে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে দেশটিতে লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে নতুন এক বিতর্ক সৃষ্টি হলো।  

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাতে ‘দ্য প্রজেক্ট’ শিরোনামের একটি টিভি অনুষ্ঠানে অংশ নেন আরদ্রান। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক জেসে মুলিগান তাকে প্রশ্ন করেন যদি ক্যারিয়ার এবং সন্তান নেওয়া দু’টির মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলা হয়—তাহলে কী করবেন? এ প্রশ্নের জবাব কৌশলে দিলেও পরদিন বুধবার (১আগস্ট) একই রকমের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় আরদ্রানকে।  

‘দ্য এএম’ শো উপস্থাপক মার্ক রিচার্ডসন এই নারী নেত্রীকে বলেন, নিউজিল্যান্ডে কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটি নেবেন কিনা তা জানার অধিকার নাগরিকদের রয়েছে। কোনো নারী যদি কোম্পানিতে চাকরি নেন, তাহলে তার ধরণ সম্পর্কে জানা থাকতে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে মাতৃত্বের ছুটি নেওয়াটা সঠিক কিনা? 

এ প্রশ্নে রেগে যান আরদ্রান। বলেন, সন্তান পালনের পরিকল্পনার বিষয়টির গোপনীয়তা বজায় রাখার অধিকার নিউজিল্যান্ডের নারীদের রয়েছে। সন্তান ধারণ কিংবা সন্তান নেওয়ার বিষয় নিয়ে একজন প্রার্থীকে প্রশ্ন করাটা বৈষম্য।  

রিচার্ডসনের দিকে সমালোচনার আঙ্গুল তুলে আরদ্রান বলেন, ২০১৭ সালে এসেও নারীদের যদি কর্মস্থলে এ রকম প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, তবে তা অগ্রহণযোগ্য। কখন সন্তান নিতে হবে সে সিদ্ধান্তটা নারীদের নিজস্ব। এর ওপর চাকরি পাওয়া বা দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করতে পারে না।  

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সমালোচনা তৈরি হয়েছে চারপাশে, ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই। অনেকেই বলছেন, পুরুষ রাজনীতিবিদদের বাবা হওয়া না হওয়া নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন করে না, তাহলে নারীর ক্ষেত্রে কেন?

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।