ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শিক্ষার্থীকে চুল কালো করতে বাধ্য করেছে জাপানি স্কুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
শিক্ষার্থীকে চুল কালো করতে বাধ্য করেছে জাপানি স্কুল জাপানি এক শিক্ষার্থী

চুলের রং কালো করতে বাধ্য করায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে নিজের স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জাপানি এক কিশোরী। জন্মগতভাবে তার বাদামি রঙের চুল কালো না করলে বহিষ্কার করার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে চুল রং করতে বাধ্য করে স্কুলটি।

সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, চুলে কৃত্রিম রং করায় ‍চুল ও মাথার তালু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওসাকার কাইফুকান হাই স্কুলের ওই শিক্ষার্থী।

স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে ডাইং বা ব্লিচিং করা চুলের জন্য বহিষ্কার করার রীতি রয়েছে কাইফুকান হাই স্কুলের।

মেয়েটির চুলে কৃত্রিমভাবে বাদামি রং করা হয়েছে সন্দেহে তাকে চুল কালো করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অন্যদিকে স্কুলের নির্দেশনা পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে মেয়েটির মা জানিয়েছিলেন জন্মগতভাবেই তার মেয়ের চুল বাদামি রঙের। তবুও স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়েকে চুলে কালো রং করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
শিক্ষার্থীদের বাহ্যিক দৃষ্টিগোচরতা সংক্রান্ত কঠোর নিয়ম রয়েছে জাপানি স্কুলেরঘটনার পর গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে মেয়েটি আর স্কুলে উপস্থিত হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। চুল ও স্কাল্পের ক্ষতি হওয়ায় মেয়েটি ১৯ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।  

আদালতে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রত্যাখ্যানের আবেদেন জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে কাইফুকান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসাহিকো তাকাহাশি মামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।

অনেক জাপানি স্কুলে সাজগোজ, চুলের রং, মেকআপ এমনকি স্কার্টের দৈর্ঘ্য সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন রয়েছে, যা কঠোরভাবো পালন করতে হয় শিক্ষার্থীদের।  

চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশটির দৈনিক পত্রিকা আহাসি শিমবুনের এক জরিপে দেখা যায়, ৬০ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীদের চুল জন্মগত রঙের কিনা তার প্রমাণ দিতে বাধ্য করে। প্রমাণ হিসেবে বাচ্চা বয়সের ছবি দিতে হয় স্কুলে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।