ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

টানা সাতবার সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী আঙ্গেলা মেরকেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৭
টানা সাতবার সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী আঙ্গেলা মেরকেল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে কিছু একটা বোঝাচ্ছেন আঙ্গেলা মেরকেল (ফাইল ফটো)

২০০৫ সাল থেকে টানা এক যুগ জার্মানির চ্যান্সেলর বা সরকারপ্রধান তিনি। স্বদেশের সরকার সুসংহতভাবে পরিচালনার পাশাপাশি আঞ্চলিক বিষয়াদিতেও ত্রাণকর্তার ভূমিকায় আবির্ভূত হয়ে তিনি বনে গেছেন ‘ইউরোপের নেত্রী’। তার এমন প্রভাবশালী ভূমিকাই ফের স্বীকৃতি পেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস’র। জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেলকে টানা সপ্তমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী নির্বাচিত করেছে সাময়িকীটি। 

বুধবার (১ নভেম্বর) ফোর্বসের প্রকাশিত ‘২০১৭ সালের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকা’য় মেরকেল এই মর্যাদা দেওয়া হয়। এবার টানা সপ্তমবার শীর্ষে থাকলেও মোট মিলিয়ে মেরকেল এই সম্মান পেয়েছেন ১২ বার।

তালিকায় ৩০তম অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদের জন্য জয় পেলেও আগের চেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় মেরকেলের দল। কিন্তু তারপরও বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীর জায়গায় রয়ে গেছেন ৬৩ বছর বয়সী মেরকেল। পর্যবেক্ষকদের মতে, মেরকেলের এই অবস্থান ধরে রেখেছে—শরণার্থী সমস্যা, ইউরোপের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ বা ব্রেক্সিট ইস্যুতে আঞ্চলিক জোটটির ঐক্য সংহত রাখতে পদক্ষেপ, জার্মান অর্থনীতি মজবুতিকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার দৃঢ়চেতা ও ফলদায়ক ভূমিকা।

তার পেছনে থাকা শীর্ষ চার জন হলেন—যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে, যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস-পত্নী দানবীর মেলিন্ডা গেটস, ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ ও গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরস কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও মেরি ব্যারা।

বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০তম স্থানে জায়গা পেলেও তালিকায় তার তিন ধাপ পেছনে ৩৩তম অবস্থানে রয়েছেন মিয়ানমারের বিতর্কিত নেত্রী অং সান সু চি। তবে তালিকায় জায়গা হয়নি একসময় একেবারে প্রথম দিকে থাকা ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর।

এছাড়া, তালিকায় ১৬তম অবস্থানে চিলির প্রেসিডেন্ট মিশেলে বাচলেট, ১৯তম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প, ২১তম স্থানে মার্কিন জনপ্রিয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রে, ২৬তম স্থানে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, ৩২তম স্থানে ভারতের অর্থনীতিবিদ ও আইসিআইসিআই ব্যাংকের সিইও চন্দ কোচার, ৫৭তম স্থানে একই দেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং আইটি সেবাদাতা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এইচসিএল এন্টারপ্রাইজের সিইও ও নির্বাহী পরিচালক রোশনি নদর মালহোত্রা, ৬৫তম স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, ৬৯তম স্থানে ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ-পত্নী এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিসিলা চ্যান, ৭১তম স্থানে ভারতের জৈবপ্রযুক্তি বিষয়ক কোম্পানি বায়োকনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কিরণ মজুমদার-শাও, ৭৯তম স্থানে মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আরিয়ানা হাফিংটন, ৮৮তম স্থানে যুক্তরাজ্যের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় লেখিকা জে কে রাউলিং, ৯২তম স্থানে ভারতের হিন্দুস্থান টাইমস গ্রুপের সম্পাদকীয় পরিচালক ও চেয়ারপারসন শোবহানা ভারতীয়া এবং ৯৭তম স্থানে একই দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া রয়েছেন।

তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে সাতটি বিষয়কে ‘ক্ষমতার ভিত্তি’ ধরে। যেমন বিলিয়নিয়ার, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ, দানবীর বা স্বেচ্ছাসেবী এবং প্রযুক্তিবিদ। এই সাত ক্ষেত্রে যারা প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন, তাদেরই রেটিং ধরে প্রস্তুত করা হয়েছে ক্ষমতাধরদের তালিকা।

ফোর্বস মিডিয়ার নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট মইরা ফোর্বস এ বিষয়ে বলেন, ২৯ দেশের এই ১০০ নারী বিশ্বের ৩শ’ কোটি মানুষের ওপর সরাসরি প্রভাব রাখেন। তারা এই বিপুল জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছেন বিশ্ব দরবারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।