বুধবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে হসং-১৫ নামে ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা চালানোর পর উত্তর কোরিয়া এই হুংকার ছেড়েছে। দিনের আলো ফোটার আগেই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, এই আইসিবিএম ৪ হাজার ৫০০ কিলোমিটার কৌণিক দূরত্বে উড়ে গিয়ে জাপানের জলসীমায় পড়ে।
ভোরে কোনো মন্তব্য না করলেও কয়েক ঘণ্টা পর উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে পিয়ংইয়ং এখন তাদের পরমাণু রাষ্ট্র হওয়ার লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছে।
কেসিএনএ’র দুপুরের খবরে বলা হয়, ৫৩ মিনিটে ক্ষেণপাস্ত্রটি সোজাসুজি ৯৫০ কিলোমিটার উড়েছে। আর এটি উচ্চতা ছুঁয়েছে ৪ হাজার ৪৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগে উত্তর কোরিয়ার কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে সাগরে পড়লেও এবার তেমনটা হয়নি। তবে পড়েছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের ২৫০ কিলোমিটার অদূরের জলসীমায়।
পিয়ংইয়ং এর আগেই এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে বলেছিল, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। তবে এবারই প্রথম তারা বললো, এই ক্ষেপণাস্ত্রের আয়ত্তে এখন পুরো যুক্তরাষ্ট্র। যেটাকে আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর চেয়ে উন্নততর ভার্সন বলা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে ক’মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেওয়ারও হুমকি দেন। পাল্টা জবাব দিয়ে পিয়ংইয়ংও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। এরমধ্যে নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলে মনে করছে সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএ/