এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন প্রশ্নে দশকের পর দশক ধরে অনুসৃত নীতি থেকে সরে আসলো যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বজুড়েই ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা হলেও ট্রাম্প অবশ্য তার এই ঘোষণাকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার পথে ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইসরায়েল ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের এই ঘোষণার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, শান্তি প্রক্রিয়ার মধ্যস্থতাকারীর যোগ্যতা হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৮টি সদস্য রাষ্ট্র এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি অধিবেশন ডেকেছে।
ইসরায়েল পুরো জেরুজালেমকেই এর রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিলেও ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে আসছে। এছাড়া ১৯৯৩ সালের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি অনুযায়ী, জেরুজালেম নগরীর বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হতে হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মেনে নেয়নি। এজন্য ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকা সবগুলো দেশের দূতাবাসগুলো এখনও তেল আবিবেই রয়েছে।
জেরুজালেম ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলিম বিশ্বের এই তিন প্রধান ধর্মাবলম্বীদের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র বলে বিবেচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭
আরআই