দাদেলধুরা-১ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ৭ হাজারেরও কম ভোট নির্বাচিত হলেও তার দলের অনেক হেভিওয়েট ক্যান্ডিডেটই বাম জোটের অখ্যাত প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন।
বাম জোটের শীর্ষ নেতা ইউএমএল প্রধান কেপি শর্মা অলি নির্বাচিত হয়েছেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে।
এ পর্যন্ত গণনা শেষ হওয়া ফেডারেল পার্লামেন্টের ১১১ আসনের মধ্যে মাত্র ১৩টিতে জিতেছে ক্ষমতাসীন নেপালি কংগ্রেস। আর প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলি’র ১৫৪ আসনের ভোট গণনা শেষে সাকুল্যে ২৫ আসনে জিততে পেরেছে তারা।
এ পর্যন্ত জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয়ে যাওয়া ফেডারেল পার্লামেন্টের ২০৬ আসনের মধ্যে ১১২ আসনে জিতে সবার উপরে অবস্থান নিয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনাইটেড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট (সিপিএন-ইউএমএল)। ৪৯ আসনে জিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে তাদেরই নির্বাচনী মিত্র পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্দে’র নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-মাওয়িস্ট সেন্টার(মাওবাদী কেন্দ্র)।
এর মানে, ঘোষিত ফেডারেল পার্লামেন্টে ১১১ আসনের ফলাফলে বাম জোটই পেয়েছে ৮৬ আসন। আর ১২ আসন নিয়ে এ পর্যন্ত ১৩ আসন পাওয়া কংগ্রেসের গায়ে গায়ে ছুটছে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা।
এছাড়া ইউএমএল এগিয়ে আছে আরো ১৭ আসনে। মাওবাদীদের এগিয়ে থাকা আরো ১০ আসন ধরলে বামজোটের এগিয়ে থাকা আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭। এদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও কংগ্রেস এগিয়ে আছে মাত্র ১০টি আসনে। আর ১৫ আসনে এগিয়ে আছে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা।
প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলির ফল ঘোষিত ২০৬ আসনের মধ্যে ১৬১টিই ঝুলিতে পুরেছে বাম জোট। কংগ্রেস জিতেছে মাত্র ২৫টি আসনে। ২০টি আসনে অন্য দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। আর গণনা চলতে থাকা আসনগুলোর মধ্যে বামজোট ৫৯ আসনে এগিয়ে থাকলেও মাত্র ১৭টিতে এগিয়ে আছে কংগ্রেস।
গত ২৬ নভেম্বর প্রথম দফার ভোট হয় নেপালে। দ্বিতীয় দফার ভোট হয় ৭ ডিসেম্বর। বর্তমানে সব আসনের ভোট গণনা চলছে। ভোট শেষ হওয়ার পর সব কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স নিয়ে এসে কেন্দ্রীয়ভাবে নেপাল নির্বাচনের ভোট গণনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
জেডএম/