ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নেপালে চিনপন্থি বামজোটের নিরঙ্কুশ জয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
নেপালে চিনপন্থি বামজোটের নিরঙ্কুশ জয় নেপালের নির্বাচনে কার কতো আসন।

ঢাকা: শেষ পর্যন্ত চীন ঘেঁষা বাম জোটের হাতেই উঠলো নেপালের ভবিষ্যত। ভোট গণনা শেষে কেপি শর্মা অলির সিপিএন-ইউএমএল ও পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্দ’র মাওবাদী কেন্দ্রের ঝুলিতে এখন ফেডারেল পার্লামেন্টের ১৬৫ এর মধ্যে ১১৬টি আসন। সঙ্গে প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলির ৩৩০ আসনের মধ্যে ২৩৯টিই পেয়েছে তারা।  

আর ক্ষমতাসীন নেপালী কংগ্রেস ফেডারেল পার্লামেন্টে মাত্র ২৩টি ও প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলিতে ৪৫টি আসন পেয়ে ভরাডুবির লজ্জায় ডুবেছে।

এখন চলছে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের হিসাব।

সংবিধান অনুযায়ী, ফেডারেল পার্লামেন্টে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) আসন পেতে কোনো দলকে সারা দেশের মোট বৈধ ভোটের অন্তত ৩ শতাংশ পেতে হবে। প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলির ক্ষেত্রে ভোট পেতে হবে দেড় শতাংশ। কোনো দল এর চেয়ে কম ভোট পেলে মোট বৈধ ভোটের ভেতর থেকে তাদের ভোট বাদ দিয়ে নির্ধারণ করা হবে অধিক ভোট পাওয়া দলগুলোর অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব।

আর এ হিসেবেও যে বাম জোটই এগিয়ে থাকছে তা বলাই বাহুল্য।

গত ২৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ও ৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় নির্বাচনে। নিয়ম অনুযায়ী ফেডারেল পার্লামেন্টের ২৭৫ আসনের মধ্যে ১৬৫টিতে এবং প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলির ৫৫০ আসনের মধ্যে ৩৩০টিতে ভোট হয়।   মোট ১ কোটি ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ৯৩৮ ভোটাদের মধ্যে ১ কোট ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এককভাবে ফেডারেল পার্লামেন্টের ১৬৫ আসনের মধ্যে ইউএমএল ৮০, মাওবাদী কেন্দ্র ৩৬, কংগ্রেস ২৩ ও অন্যন্য দল ২৬ আসন লাভ করে। প্রভিনশিয়াল অ্যাসেম্বলির ৩৩০ আসনের মধ্যে ইউএমএল ১৬৬টি, মাওবাদী কেন্দ্র ৭৩, কংগ্রেস ৪৫টি আসন লাভ করে। অন্যান্য দলের ঝুলিতে যায় আরো ৪৫ আসন।

নিরুঙ্কুশ জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাম জোটের প্রধান দুই নেতা ‍অলি-প্রচন্দ সম্ভাব্য সরকার নিয়ে আলোচনাও সেরে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে নেপালের একাধিক সংবাদ মাধ্যম।

নতুন করে বামদের এই উত্থান ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ এঁকে দিয়েছে বলে ‍ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, অলি ও প্রচন্দ দুজনেই ভারতের চেয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতেই বেশী আগ্রহী।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
জেডএম/  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।