বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জাপানের টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে গুতিয়েরেস এ কথা বলেন। গত মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞ চালানোর এলাকা রাখাইনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ওই দুই সাংবাদিককে আটক করা হয়।
গুতিয়েরেস বলেন, মিয়ানমারে যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা চলছে, তার সঙ্গে এই দুই সাংবাদিককে আটকের ঘটনা সম্পর্কিত। সম্ভবত মারাত্মক মানবিক ট্র্যাজেডি দেখে তা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরির কারণে এ দুই সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অবিলম্বে এ সাংবাদিককের মুক্তি দাবি করেন এবং একইসঙ্গে রাখাইনে সংবাদকর্মীসহ সবার অবাধ চলাফেরার পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।
গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৬ লাখ মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। সম্প্রতি ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী মাত্র একমাসে সরাসরি হত্যা করেছে ৬ হাজার ৭০০ রোহিঙ্গাকে। সহিংসতার শিকার হয়ে মোট মারা গেছে ৯ হাজার রোহিঙ্গা। এই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ।
এই বর্বরোচিত অভিযানের মধ্যে অক্টোবরের শেষে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি’র দুই সাংবাদিককে কারাগারে পাঠায় মিয়ানমার সরকার। সিঙ্গাপুরের লাউ হন মেন ও মালয়েশিয়ার মক চউ লিন নামে ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, তারা রাজধানী নেপিডোতে ড্রোন উড়িয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
এইচএ/
** মিয়ানমারে একমাসেই ৬৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা