বিশ্বের অনেক দেশে গত রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ক্রিসমাসের দিন রোহিঙ্গাদের হাহাকারপূর্ণ গল্পগুলো সম্বলিত স্বীকৃতিপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রক্রিয়াভুক্ত হয়। মিয়ানমারের সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধীদেরকে তাদের নিজ নিজ বিচার বিভাগে মামলা করে আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা যায়।
রোহিঙ্গা রক্ষায় অভিযান গ্রুপের সহ প্রতিষ্ঠাতা জোহানেসবার্গের অ্যাডভোকেট শবমান মেয়েট, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাডভোকেট শায়দা মাহমুদ, জোহানেসবার্গের পোর্ট এলিজাবেথের অ্যাটর্নি টাসনিম ফ্রেডেরিক্স এবং স্কটল্যান্ডের জেদাবাদের সাংবাদিক ইভন রিডললের সমন্বয়ে দলটি গঠিত।
শবমান মেয়েট বলেন, ‘৮ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দু’দেশের মাঝে আলোচনা চলছে। আগামী মাসের শেষের দিকে একটি সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে’।
‘এটি কেবলমাত্র পূর্বমুখী পদক্ষেপ ছিল এবং এখনো অনেক কাজ করা হচ্ছে। দলটি আশাবাদী যে, অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবীরাও যোগাযোগ করবেন। তারা রোহিঙ্গাদের রক্ষা ও তাদের নিজস্ব বিচার ব্যবস্থায় মামলা দায়েরে ডাটাবেস ব্যবহার করবেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এক তিক্ত সরঞ্জাম যা আমরা নিপীড়ন ও অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ব্যবহার করতে পারি’।
প্রকল্পটির জন্য দলটি জার্মানিভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিলিফ অর্গানাইজেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে। বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবক ও একাডেমিক অ্যাক্টিভিস্ট রেজাউর রহমান লেনিন সহায়তা করেন। এই প্রো-জেনেটটি আংশিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ভিত্তিক মিডিয়া রিভিউ নেটওয়ার্ক ও সালামাদিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছিল।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় তাদের দুর্দশার বিষয়ে ২০১২ সালের জুলাই থেকে সচেতনতামূলক কাজ করছে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এএসআর