শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক আদ্রে আজোওলেকে নোটিশ পাঠিয়েছে তেলআবিব। নোটিশে তারা জানিয়েছে, আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পুরোপুরিভাবে ইউনেস্কোর সদস্যপদ ছাড়বে ইসরায়েল।
গত অক্টোবরে ইউনেস্কোকে একই রকমের নোটিশ দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তেলআবিবের মতো ওয়াশিংটনও দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে ইউনেস্কোর ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণের অভিযোগ তুলে আসছে।
দু’টি দেশই পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ইউনেস্কো’র সমালোচনা এবং এই সংস্থায় ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছিলো না।
ইসরায়েলের এ নোটিশে হতাশ ইউনেস্কোর মহাপরিচালক আজোওলে বলেন, ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ইউনেস্কোর পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে।
গত জুলাইয়ে পশ্চিম তীরের হেবরনের ওল্ড টাউনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে ইউনেস্কো। ইসরায়েলের অভিযোগ, ইহুদিদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এতে বাদ পড়েছে। এরপর থেকেই মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ইউনেস্কো-বিরোধিতা তীব্র হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে ঘোষণা দেন। এরপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে ঘোষণাটি ব্যাপক সমালোচিত হয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই সমালোচনার জেরেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইউনেস্কো থেকে নিজের দেশকে সরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
১৯৪৯ সালে ইউনেস্কোর সদস্য পায় সংখ্যারিষ্ঠ মুসলিমদের আবাসস্থল ফিলিস্তিন দখল করে গড়ে ওঠা ইসরায়েল। কিন্তু ২০১১ সালে সেই ফিলিস্তিনকেই ইউনেস্কো সদস্য করে নিলে এই সংস্থায় থাকা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করে দেশটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/