জাতীয় নাগরিকত্ব নিবন্ধন (এনসিআর) তৈরির নামে আসাম থেকে বাঙালিদের বের করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে এর বিরুদ্ধে মমতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) মামলা দু’টি দায়ের হয়।
কৈলাশ শর্মা নামে এক ‘সমাজকর্মী’ ও তৈলেন্দ্র নাথ নামে এক ‘আইনজীবী’ আসাম পুলিশের সহযোগিতায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, মমতার এই বক্তব্য উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, যার জেরে এনসিআর হালনাগাদ প্রকল্পে সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে যেতে পারে।
মামলা দু’টি দায়ের করার আগে রাজ্য বিজেপি সরকারও তোপ দাগে মমতাকে। তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, এনসিআর হালনাগাদের বিরুদ্ধে কথা বলে মমতা সর্বোচ্চ আদালতের বিরুদ্ধাচারণ করেছেন, কারণ সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে এ কার্যক্রম চলছে।
এর আগে বুধবার (৩ জানুয়ারি) বীরভুমে এক জনসভায় মমতা বলেন, আসামে কমপক্ষে এক কোটি নাম এনসিআর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এটা আর কিছুই নয়, বাঙালি হটানোর অভিযান। আসামে বসবাসরত বাঙালিদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে।
এ জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার সরকারকে দায়ী করে মমতা বলেন, গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় যে কোনো রাজ্যের মানুষ দেশের যে কোনো রাজ্যে থাকতে বা কাজ করতে পারেন। অন্য রাজ্যের প্রচুর মানুষ পশ্চিমবঙ্গে থাকেন। অনেক বাঙালিও ভিন রাজ্যে আছেন। আসাম ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কিছু লোকজন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এটা করছে।
ভোটার তালিকা থেকে বাঙালি মুসলিমদের নাম বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ মমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাঙালিদের ওপর এ ধরনের অত্যাচার তৃণমূল কংগ্রেস সহ্য করবে না। আসামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে, এর প্রভাব এ রাজ্যেও পড়বে। আমরা সীমান্ত বন্ধ করে দিতে পারি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
এইচএ/
** আসামে ‘বাঙালি হটাও’য়ে মমতার হুঁশিয়ারি