সোপোরের প্রধান বাজারে একটি পুলিশ ইউনিটকে লক্ষ্য করে শনিবার (০৬ জানুয়ারি) সকালে এ হামলা চালানো হয়।
সন্ত্রাসীরা ‘ছোট বাজার’ ও ‘বড় বাজার’ এর মধ্যেকার লেনের একটি দোকানের কাছে দূর নিয়ন্ত্রিত আইইডি পেতে রাখে।
পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখে অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে বলে আইআনস্ নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।
কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
১৯৯৩ সালের গণহত্যার প্রতিবাদে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা হরতালের কারণে এলাকাটি বেশ পরিত্যক্ত হয়ে রয়েছে। বাজারের দোকানগুলোও বন্ধ ছিল। এর মধ্যেই এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৫৭ জন নিহত হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি হামলার বিষয়ে টুইট করেছেন।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ টুইট করেছেন, ‘সোপুর থেকে খুব দুঃখজনক খবর। শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের চারজন সাহসী যোদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি’।
গত সোমবার (০২ জানুয়ারি) জয়েশ-এ মোহাম্মদ গ্রুপের তিন জঙ্গি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালায়। পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার আগে পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
তিন জঙ্গির মধ্যে ছিলেন কাশ্মীরের একজন পুলিশ সদস্যের ১৬ বছর বয়সী ছেলে। তার মরদেহের সঙ্গে ২৪টি গ্রেনেড এবং একটি ভিডিও বার্তা পেয়েছিল পুলিশ, যেখানে কাশ্মীরের যুবকদেরকে সন্ত্রাসী গ্রুপে যোগদানের অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, গোষ্ঠীটি এর আগে শীর্ষনেতা নূর মোহম্মদ তান্ত্রে বা ছোট নুরায়েরের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৭
এএসআর